বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: লোকসভা ভোটের মাঝে (Lok Sabha Election 2024 ) এবার 'হলদিয়ার বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিকদেরকে মুচলেকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস' ,বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Tamluk BJP Candidate Abhijit Gangopadhyay)।


বুধবার হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মন্ডলকে পাশে বসিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, 'আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য এসেছে, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বিভিন্ন কলকারখানার ঠিকা শ্রমিকদের বলছেন যে যে এলাকায় থাকেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সভাপতি কিংবা অঞ্চল সভাপতির কাছ থেকে এই মর্মে চিঠি আনতে হবে, তিনি তৃণমূল কংগ্রেস করেন এবং তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনী কার্যকলাপ করছেন। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনে এই নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্র‍য়োজনে আইনি পদক্ষেপ করার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।পাশাপাশি এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এও অভিযোগ করেন, সন্দেশখালির মত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও সৌম্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ফেক ভিডিও করার চক্রান্ত চলছে।কিছু এলাকায় তৃণমূল ১০০ শতাংশ ভোট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কটাক্ষ করেছে সিপিএমও। 


তমলুকে ২৫ মে লোকসভা ভোট। হেভিওয়েট এই কেন্দ্রেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। যিনি বিচারপতি থাকাকালীন, তাঁর একের পর এক ঐতিহাসিক রায়ে চাপের মুখে পড়েছিল শাসকদল। সেই চাপের যবনিকা এখনও পড়েনি।  বলাইবাহুল্য এই কেন্দ্রে নজর রয়েছে সবার। সম্প্রতি এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তমলুকে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীকে লক্ষ্য করে চাকরিহারাদের সমর্থনে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চ থেকে উঠেছিল চোর স্লোগান। এদিকে পাল্টা দেখানো হয়েছিল জুতো। স্লোগানও দিয়েছিলেন বিজেপি কর্মীরা। এই নিয়ে হাতাহাতির পরিস্থিতি পর্যান্ত তৈরি হয়েছিল। 


আরও পড়ুন, আরামবাগে মমতার সভা, অপরূপাকে মঞ্চে উঠতে 'বাধা', বিস্ফোরক বিদায়ী সাংসদ..


তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনোনয়ন জমা দিনে  একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান থেকে শুরু করে একপক্ষ তেড়ে গিয়েছিল অপরপক্ষের দিকে। তমলুকের রাজ ময়দান থেকে শুরু হয়েছিল তমলুকের বিজেপি প্রার্থীর রোড শো। কিন্তু রোড শো হাসপাতাল মোড়ে পৌঁছতেই, শুরু হয়েছিল ঝামেলা। এই জায়গাতেই তৃণমূলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে চাকরিহারাদের নিয়ে  ধর্না-অবস্থান চলেছিল। বিজেপির দাবি ছিল, তাঁদের রোড শো সেখানে পৌঁছতেই তৃণমূলের মঞ্চ থেকে চোর স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল পুলিশ । বিজেপির মণ্ডল সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দাস বলেছিলেন, 'এখানে আসলে যারা বসে আছে, তারা আসলে চোর। তাদের চুরি ঢাকতে আজকে এখানে আমাদের চোর চোর স্লোগান দিচ্ছে, উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে।'