ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, দুবরাজপুর: বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুরের সাহাপুর গ্রামের বিজেপি (BJP) নেতা দেবব্রত ঘোষের বাবা ও ভাইকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় ধরা পড়েছে আটজন তৃণমূল (TMC) কর্মী। শুক্রবার তাদের আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বিচারক। এই ঘটনায় আরও ৫০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাহাপুরের ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় ৮ জন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে সদাইপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয় মিছিল থেকে ইচ ছোঁড়া হয় ও বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় সাহাপুর গ্রামে। আক্রান্ত হন ওই এলাকার বিজেপির বুথ সভাপতি ভাই ও বাবা। এই ঘটনার পরে আহতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ৮ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করে সদাইপুর থানা পুলিশ। তাদের আজ তোলা হয়েছিল সিউড়ি জেলা আদালতে। বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছেন ৮ জন তৃণমূল কর্মীকে।
আরও পড়ুন: Narendra Modi 3.0 : '২৪-এ এনডিএ-র মহাবিজয়' শরিকদের নিয়ে আগামী ১০ বছরের পরিকল্পনা শোনালেন মোদি
লোকসভা নির্বাচন ফলাফল প্রকাশের পর থেকে কোচবিহার থেকে কলকাতা। বিভিন্ন জায়গাতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীরা কলকাতার মাহেশ্বরী ভবন সহ নানা জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। এই সমস্ত ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের হওয়ার পর সন্ত্রাস থামাতে না পারার জন্য রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রয়োজন পড়লে পাঁচ বছর রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। তারপরই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের সদাইপুর এলাকার সাহাপুর গ্রামে বিজয় মিছিল করার সময় স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবব্রত ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে ইট ছোঁড়ার পাশাপাশি ভাঙচুর চালানোর ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। বিজেপি নেতার বাড়িতে ঢুকে তাঁর বাবা ও ভাইকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগও ওঠে। যার জেরে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তিও হন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: South 24 Parganas: যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে অটো-টোটোর বচসা, মহেশতলায় বন্ধ পরিষেবা