বাগলকোট, চিক্কোডি (কর্নাটক): কর্নাটকে ভোটপ্রচারে গিয়ে কেন্দ্রে শক্তিশালী সরকার গঠনের পক্ষে সওয়াল করে নরেন্দ্র মোদির কটাক্ষ রাজ্যের ক্ষমতাসীন এইচ ডি কুমারস্বামী সরকারকে। কংগ্রেস-জেডি (এস) জোট সরকারের নেতা, মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে ‘অসহায়’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, শক্তিশালী সরকার কাকে বলে, দেখতে হলে দিল্লির দিকে দেখুন। আর একটা ‘বেচারা’ সরকার দেখতে হলে তাকান কর্নাটকে। কংগ্রেসই অসহায় সরকার চায় বলে দাবি করে ভোটারদের বলেন, আপনারাই অসহায় কুমারস্বামীকে দেখুন!
কুমারস্বামীর মাঝেমধ্যেই আবেগের আতিশয্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসা নিয়ে মোদি কটাক্ষ করেন, সব নাটক!
কংগ্রেস শুধু নিজের স্বার্থই দেখে, জাতীয় স্বার্থের কথা ভাবে না বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ওরা সার্জিক্যাল হামলা, পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসবাদীদের ডেরায় হামলাকে আমাদের সাফল্য বলে মানতে চায় না। মোদি কটাক্ষ করেন, বালাকোট কোথায়, খুঁজে বের করতে বিরোধীরা গুগল করেছিল। ওরা প্রমাণ করতে চেয়েছিল, জায়গাটা ভারতে। পাকিস্তানে ঢুকে ভারত আক্রমণ করতে পারে, এটা ওরা বিশ্বাসই করতে পারেনি।
২০০৮ এর মু্ম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলার পর কেন্দ্রের তত্কালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার শুধু হা-হুতাশ করেই বেড়িয়েছে, কিন্তু এখন পরিস্থিতি পুরো বদলে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন মোদি। বলেন, এখন পাকিস্তান যেখানেই যাক, ওদের কান্না শুনবেন, মোদি মারছে।
অস্তিত্ব বিপন্ন হলেই কংগ্রেস সমাজে বিভাজন ঘটাতে নেমে পড়ে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পাশাপাশি রাজ্যের জোট সরকারকে আক্রমণ করেও মোদি বলেন, কংগ্রেস ও জেডি(এস)-এর মধ্যে প্রতিটি ইস্যুতে ঝগড়া হলেও পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতির প্রশ্নে ওরা এক, জাতীয়তাবাদ ও তাঁর সম্পর্কেও তারা খারাপ কথা বলে।


দুবেলা, দুমুঠো খেতে পায় না, এরকম লোকজনই সেনাবাহিনীতে সামিল হয় বলে মন্তব্য করার যে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর বিরুদ্ধে উঠেছে, তা নিয়েও মোদি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ক্ষুধার্ত লোকেরাই সশস্ত্র বাহিনীতে যায়, এবার এই দেবগৌড়া পরিবারকে সমাজ থেকে ছুঁড়ে ফেলতে হবে।
জনসভার দর্শকদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেন, কারা সম্মানিত হবে, যারা ভারত মাতা কি জয় বলে, তারা নাকি যারা দেশকে টুকরো টুকরো করতে চায়, সেটা আপনাদের ভোটেই নির্ধারিত হবে।