কলকাতা: পরিচালক হিসেবে কাজ করতে চেয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty)-র সঙ্গে। অফার করেছিলেন, তবে সেই সময়ে হয়ে ওঠেনি কাজটা। এর ১১ বছর পরে, মনিটরে চোখ রেখে যখন অ্যাকশন-কাট বলছিলেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty), তখন তাঁর চোখেমুখে খুশির আমেজ। স্বপ্নপূরণই তো। কারণ ক্যামেরার সামনে বসে রয়েছেন, মিঠুন চক্রবর্তী। এসভিএফের প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে রাজ চক্রবর্তীর নতুন ছবি, মুখ্যভূমিকায় ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty) ও মিঠুন। শ্যুটিং ফ্লোরে হাজির হয়ে, পরিচালকের মনের কথা জানল এবিপি লাইভ (ABP Live)।


মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে পরিচালক হিসেবে কাজ করার জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন রাজ? পরিচালক বলছেন, 'একটি ডান্স রিয়্যালিটি শো-এ এর আগে কাজ করেছিলাম মিঠুনদার সঙ্গে। সেই সময় থেকেই খুব ভাল সম্পর্ক। ২০১৩ সালে ওঁকে 'প্রলয়' ছবিটার অফার দিয়েছিলাম। উনি রাজিও হয়েছিলেন, তবে সেই সময়ে কাজটা হয়ে ওঠেনি। এতদিন পরে, অবশেষে ওঁর সঙ্গে কাজ করতে পারছি। ওঁর সম্পর্কে যে গল্পগুলো শুনেছি, কীভাবে উনি কাজ করেন, চরিত্রের মধ্যে প্রবেশ করেন.. সবটা দেখছি আর শুধুই মুগ্ধ হচ্ছি। অসাধারণ। এই ছবিটা একটা পরিবারের গল্প। বাবা-ছেলের সম্পর্কের গল্প। এখনকার সমাজেই এমন অনেক চরিত্র পাওয়া যায় যাঁরা তাঁদের বাবা-মায়ের কথা ভাবেন না, খোঁজও নেন না। বাবার চরিত্রটা মিঠুনদা এত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলছেন! কখনও ভয়, কখনও রাগ, কখনও বিরক্তি.. সবটাই দুর্দান্ত। আর ছবিতে ওঁর আসল বয়সটাই দেখানো হচ্ছে।'


চিত্রনাট্য শুনেই কি রাজি হয়ে গিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী? রাজ বলছেন, 'মিঠুনদা শ্যুটিংয়ে একরকম মানুষ আর শ্যুটিংয়ের বাইরে একেবারে অন্যরকম। যখন ওঁকে গল্পটা শোনাই, উনি বলেছিলেন সোজাভাবে গল্পটা বললেই দর্শকদের মন ছোঁবে। বেশি পাকামি করা চলবে না। ওঁর কিছু কিছু পরামর্শ ছিল, দিলেন। তবে আমার সবচেয়ে চিন্তা ছিল মিঠুনদার লুক টেস্ট নিয়ে। ওঁর চুল কাটাতে হত। সেটা ওঁকে বলায় মিঠুনদা এক কথায় রাজি হয়ে গেলেন ওঁর লম্বা চুল কাটতে। শুধু তাই নয়, একেবারে নো মেক আপ লুকে কাজ করতে রাজি হয়েছেন উনি। এই চরিত্রটার জন্য সেটাই দরকার ছিল। শ্যুটিং চলাকালীন ফ্লোরে তেমন কথা না হলেও, মিঠুনদা মাঝে মাঝেই আমায় ডেকে জিজ্ঞাসা করছেন, 'ঠিক আছে তো?', 'আমার থেকে ঠিক পাচ্ছিস তো?' 'রাগ করছিস না তো?'। ওঁর সঙ্গে আগে যাঁরা কাজ করেছেন, আমিও তাঁদের দেখে গল্প শুনে একটা প্রস্তুতি নিয়েই ফ্লোরে এসেছিলাম। তাই কোনও সমস্যাই তৈরি হয়নি।'


মিঠুন যেমন রয়েছেন, তেমন ফ্লোরে রয়েছেন আরও এক দুঁদে অভিনেতাও। ঋত্বিক। তাঁকে নিয়ে রাজ বলছেন, 'ঋত্বিকের কাছে যখনই যে চরিত্র নিয়ে গিয়েছি ও আমায় ফেরায়নি। এই চরিত্রটা হয়তো অন্য কেউ করতে চাইত না। ভীষণ ধূসর একটা চরিত্র এটা। ঋত্বিক কোনও নেতিবাচক চরিত্র করলে সেটাকে এমন পর্যায়েই নিয়ে যায়, সেখানে লোকের ওকে দেখলে মারতে ইচ্ছা করবে।'


আরও পড়ুন: Raj-Mithun Exclusive: পরিচালকের স্বপ্নপূরণ, শ্যুটিং ফ্লোরে মিঠুন বলছেন, 'রাজ আমার বেস্ট বয়'