শিলিগুড়ি: লোকসভা নির্বাচনের আগে শিলিগুড়ির সভায়, রেশন ইস্যুতে তোপ দাগলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। একেই ভোটের আগে একাধিক মামলায় জর্জরিত শাসকদল। এদিন মোদির বক্তব্যে আলোকপাত হল রেশনদুর্নীতি। খোঁচা দিয়ে বললেন, 'রেশন দুর্নীতিতে জেলবন্দি তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী'। তৃণমূল তো বটেই পাশাপাশি, মোদির নিশানায় I.N.D.I.A এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'তৃণমূল, কংগ্রেস, বামেদের জোট ফ্রি রেশনের বিরোধিতা করছে।' এরপরেই প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে রাজ্যবাসীকে বলেন, 'মোদি বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে, কাউকে যেন খালি পেটে শুতে না হয়।'


'পাহাড়ের মানুষকে গুরুত্ব দেয়নি তৃণমূল, জমি দখল করতে ব্যস্ত ছিল। উজ্জ্বলা প্রকল্প থেকে বাংলার ১৪ লক্ষ মহিলাকে বঞ্চিত করেছে তৃণমূল সরকার। মোদি বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে, কাউকে যেন খালি পেটে শুতে না হয়। তৃণমূল, কংগ্রেস, বামেদের জোট ফ্রি রেশনের বিরোধিতা করছে। রেশন দুর্নীতিতে জেলবন্দি তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী। তৃণমূল সরকার বাংলায় আয়ুষ্মান প্রকল্প আটকে দিয়েছে। কেন্দ্রের টাকা তোলাবাজদের পকেটে পাঠায় তৃণমূল। মানুষের সমস্যা নিয়ে তৃণমূলের কোনও মাথা ব্যথা নেই', বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর।


এদিন মোদি বলেন, বিভেদের রাজনীতি করে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা। দেশবাসীর সব স্বপ্নপূরণ করেছে মোদি সরকার। অযোধ্যায় রামমন্দির হয়েছে, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল হয়েছে। গোর্খাদের সমস্যা নিয়েও সংবেদনশীল বিজেপি। গোর্খাদের সমস্যা সমাধানের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গেছি আমরা। তৃণমূল, কংগ্রেস, বামেরা পরিবারতন্ত্রকে প্রশ্রয় দেয়। ভাইপোর চিন্তা করে তৃণমূল, শাহি-পরিবারের কথা ভাবে কংগ্রেস। কংগ্রেস আর তৃণমূলের কথা ভাবে বামেরা, আক্রমণ মোদির। 


অপরদিকে এদিন ফের শিলিগুড়ির সভায় সন্দেশখালি ইস্যু তোলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন,' সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর অত্যাচার চালিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।'সন্দেশখালিকাণ্ডের পর কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিতে রবিবার প্রথম ন্যাজাটে সভা করতে চলেছে বিজেপি। রবিবার সন্দেশখালি ১ ব্লকের দক্ষিণ আখড়াতলায় সভা করবেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী


আরও পড়ুন, ব্রিগেডের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সভাস্থলে অভিষেক


ইতিমধ্যেই শুভেন্দু বলেছেন,' সন্দেশখালির লোক থাকবে। আমরা তো গাড়ি করে লোক আনব না। কোনও বাস তো আমরা পাব না। কারণ ব্রিগেডে কালকে একটা জলসা আছে।' বিরোধী দলনেতার সংযোজন, 'যে মাঠটা হয়েছে, ১০ হাজারের মাঠ। আমার বিশ্বাস ১৫-২০ হাজার স্থানীয় লোক থাকবে। নৌকা করে, বোট করে, টোটো করে, অটো করে, মেশিন ভ্যানে। কোনও বাস তো আমরা পাব না। । সম্পূর্ণভাবে স্থানীয় লোক নিয়ে সভা হবে। বাইরের লোকজন আনার কোনও ব্য়াপার নেই।'