ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, সিউড়ি: তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রচুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এতদিনে মেলেনি কিছুই। এই অভিযোগ জানিয়ে সোমবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস ও সিপিএম থাকা মানুষজনও। সব মিলিয়ে গেরুয়া শিবিরে মোট ৩০০ জন যোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে ৪০ জন সিউড়িতে অবস্থিত বিজেপির পার্টি অফিসে এসে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশীষ ধর ও বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহার হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন তাঁরা।


বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার মহম্মদবাজার ব্লকে মাঠেরবাঁধ গ্রাম থেকে তৃণমূল, কংগ্রেস ও সিপিএম থেকে ৩০০ জন বিজেপিতে যোগ দিলেন। নতুন দলে এসে এতদিন তাঁরা তৃণমূল থেকে কিছু পাননি বলেই দাবি করেন।


আরও পড়ুন: Election 2024:'এরা আমাদের ভাগাভাগি করবে, সংখ্যালঘুদের ডিটেনশন সেন্টারের ভয় দেখাবে', তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর


এপ্রসঙ্গে সাবির আলি নামে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, "প্রায় ১৫ বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের প্রচুর কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু, এতদিনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা কোনও প্রকল্পের সুবিধাই আমরা পাইনি। গ্রামের যাঁরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় টাকা পেয়েছেন তাঁদের থেকেও ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। পাশাপাশি প্রথম থেকে আমরা যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলাম তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে। কোনও কিছু না দেওয়ার পাশাপাশি হেনস্থাও করা হয়েছে। যাঁরা সামনে থেকে দলের হয়ে লড়াই করতেন তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে সাইডলাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাই উন্নয়নের জন্য বিজেপিতে যোগ দিলাম।"


বিজেপিতে আসা অন্য এক ব্যক্তি বলেন, "কাটমানি ছাড়া কিছু বোঝে না তৃণমূলের নেতারা। যা কিছুই হোক না কেন তাতেই কাটমানি খেতে চলে আসে। এতদিন চুপ থাকার পর আর সহ্য হচ্ছিল না। তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম।" 


আরও পড়ুন: Loksabha Election 2024: তীব্র গরমে ভোট দেবেন কীভাবে? কী ভাবছে কমিশন


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই দলবদল শুরু হয়েছে বীরভূমে। আজ তার রেশ বজায় রেখে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা ঘটল।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।