আবির দত্ত, কোচবিহার :  লোকসভা ভোটের প্রথম দিন। প্রথম দফার ভোট। বাংলার মাত্র ৩ টি কেন্দ্রে আজ ভোট। আর তাতেই একের পর এক অশান্তির খবর। আর অশান্তির এপিসেন্টার সেই কোচবিহার। ভোট শুরু আগে থেকেই কোণায় কোণায় অশান্তি। কখনও বিজেপির তির তৃণমূলের দিকে আর কখনও তৃণমূলের নিশানায় বিজেপি। কখনও উদয়নের আক্রমণ নিশীথকে , কখনও নিশীথের কটাক্ষ উদয়নকে। আর এই সংঘাতে কখনও রক্তাক্ত হল বিজেপি, কখনও আতঙ্ক ছড়াল তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু যাঁরা খাতায়-কলমে কোনও দলই করেন না, সাধারণ ভোটারমাত্র, তাঁরাও শান্তিতে ভোটটা কাটাতে পারলেন না। গণতন্ত্রেণ উৎসব হয়ে উঠল ভয়াবহ। 


গণতন্ত্রের উৎসবে রেহাই পেলেন না ভোটার। ঘটনাস্থল সেই শীতলকুচি। যে শীতলকুচিতে  ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে গুলি চলেছিল। সেখানেই এবার আক্রান্ত ভোটার। দাঁড়িয়েছিলেন লাইনে। হঠাৎই অতর্কিতে হামলা। শীতলকুচিতে দুষ্কৃতীদের আঘাতে চোখ ফেটে গেল সাধারণ ভোটারের। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে ডাক্তারের কাছে যান তিনি। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, ক্ষত গভীর। আপাতত চোখে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। ছেলের এই অবস্থা দেখে চোখে জল এসে গিয়েছে মায়ের। ভোট দিতে এসে এভাবে আক্রান্ত হতে হবে ভাবেননি। 


কিন্তু এত বড় একটা ঘটনা ঘটল , কোথায় ছিলেল নিরাপত্তাকর্মীরা ? কেন্দ্রীয় বাহিনী এগিয়ে এল না কেন? আক্রান্ত ভোটারের দাবি,
পুলিশ-কেন্দ্রীয় বাহিনী...কেউ ছিল না....। কারা ঘটাল এমনটা? চেনা কেউ? পুরনো শত্রুতা ? আক্রান্ত জানালেন, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এমনটা ঘটিয়েছে।  


সবমিলিয়ে প্রথমদফার ভোটে অশান্তির এপিসেন্টার হয়ে উঠল কোচবিহার। দিকে দিকে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনার খবর এসেছে।  সকাল থেকে ভোটের ময়দানে নেমেছেন উদয়ন গুহ। সাড়ে ৪ ঘণ্টা পরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন নিশীথ। তবু অশান্তি থামার নামই নেই। 


২০২১ এর বিধানসভা ভোটের সময়, শীতলকুচির বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। সেই কারণেই শিরোনামে উঠে আসে শীতলকুচি। এদিন সেই জোরপাটকির বুথেও ভোটগ্রহণ হয়। সকাল থেকে বুথে ছিল লম্বা লাইন। শহিদ বেদিতে দেওয়া হয় মালা।


আরও পড়ুন : 


গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসবের মঞ্চে প্রথম দফায় ষোলোশোরও বেশি প্রত্যাশীর ভাগ্য নির্ধারণ সাড়ে ষোলো কোটিরও বেশি মানুষের হাতে


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।