কলকাতা: কেতুগ্রামে ভোটের আগে খুন তৃণমূল কর্মী (TMC Worker)। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও দলে শত্রুতার জেরে খুন বলে অভিযোগ মৃতের স্ত্রী-র। এই ঘটনায় রিপোর্ট চাইল কমিশন (Election Commission Of India)।


রিপোর্ট চাইল কমিশন: সোমবার চতুর্থ দফার ভোটে দিকে দিকে এই অশান্তির আঁচ মিলেছিল রবিবার রাতেই। বোলপুরে লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের আগের রাতে, কেতুগ্রামে বোমা ছুড়ে, কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন হলেন তৃণমূল কর্মীকে। তৃণমূল সিপিএমের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে সরব হলেও, মৃতের স্ত্রীর দাবি, স্বামীকে খুনে জড়িত তৃণমূলেরই কেউ। রবিবারের এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। নিহত তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী গতকাল বলেন, “এটা খুন করানো হয়েছে। পার্টিগত দিক থেকে বারবারই এরকমভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল। পুলিশ-প্রশাসনও পাশে কখনও আসেনি। সভাপতি পুলিশ দিয়ে ওকে বারবার হেনস্থা করানো হত। বারবার থানাতে তোলানো হত। কিন্তু, পুলিশ-প্রশাসন কোনওদিন আমাদের সাপোর্টে আসেনি। পার্টিগত দিক থেকেও আমরা সাহায্য কোনওদিন আমরা পাইনি। কোনওদিন পার্টিও আমার পাশে দাঁড়ায়নি। আজ পার্টি ছেড়ে দেওয়ার জন্য পার্টিগত লোক থেকে এরকম করে মার্ডার করানো হল।

জেলা পূর্ব বর্ধমান হলেও কেতুগ্রাম বোলপুর লোকসভার মধ্যে পড়ে। নিহত তৃণমূল কর্মী মিন্টু শেখ আনখোনা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেঁচুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের দাবি, রবিবার বিকেলে দলীয় কর্মসূচি ছিল মিন্টুর। বাড়ি ফেরার সময় রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে বোমা মেরে, কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল কর্মী মিন্টু শেখকে। তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধারে গেলে পুলিশকে বাধার মুখে পড়তে হয়। এরপর কাটোয়ার SDPO পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে প্রায় ২ ঘণ্টা পর দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।


সামশুল শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী ও কেতুগ্রাম থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ভোলন শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারেরও দাবি, ভোলন তৃণমূলের সঙ্গেই যুক্ত। এবিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বলেন, “তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ব্যাপার নেই। গতকাল রাত সাড়ে ৯টা-১০টার সময় সুযোগ পেয়ে তাকে প্রথমে বোমা মারে। পড়ে যাওয়ার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। ওর স্ত্রীকে হয়তো কেউ বুঝিয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলে বাস্তব ঘটনাটা বুঝতে পারবে।’’ এই ঘটনা প্রসঙ্গে কেতুগ্রামের সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য মিজানুল কবীর ধীরাজ বলেন, “যিনি খুন হয়েছেন, তাঁর স্ত্রীই অভিযোগ করেছেন, যে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকরা তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। এবং আপনারা চেঁচুরিয়া গ্রামে যদি কান পাতেন, তাহলেও জানতে পারবেন বা খবর পাবেন যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই মিন্টু শেখ খুন হয়েছে। এর সঙ্গে সিপিএমের কোনও যোগাযোগ নেই।’’


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 

আরও পড়ুন: Loksabha Election 2024: চতুর্থ দফার ভোটে ধুন্ধুমার, দফায় দফায় উত্তপ্ত দুর্গাপুর