পার্থপ্রতিম ঘোষ, ঘাটাল : কেশপুরে বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়লেন হিরণ চট্টোপাধ্যায় ( Hiran Chatterjee )। বাঁশ-লাঠি, ইট নিয়ে ঘাটালের বিজেপি  ( BJP )প্রার্থীর গাড়ি আটকালেন তৃণমূল কর্মীরা। হিরণের গাড়ির সামনে রাস্তায় শুয়ে পড়েন তাঁরা। গাছের গুঁড়ি দিয়ে আটকানো হয় পথ। গাড়িতে আটকে থাকেন হিরণ। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় কেশপুরে। গাড়ি ঘোরাতে বাধ্য হন হিরণ। 


বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বুথ দখল করতে শুক্রবার রাতে খেড়ুয়াবালি গ্রামে ৩ জনের হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে হিরণের পাল্টা দাবি, আমরা বুথে পোলিং এজেন্টই বসাতে পারিনি, সন্ত্রাসের অভিযোগ মিথ্যা ! হিরণ বলেন, কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । 


কেশপুরের আনন্দপুরে আটকে দেওয়া হয় হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের কনভয়। এত গাড়ি নিয়ে ঘোরা যাবে না, ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীকে জানাল পুলিশ। আনন্দপুর থানার OC-র সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন হিরণ। আঙুল তুলে কথা বলবেন না, পুলিশ অফিসারকে শাসানি দেন বিজেপি প্রার্থী। পাল্টা গলা চড়ান পুলিশ আধিকারিকও। বলেন, ' আপনিও আমাকে চমকাবেন না'। আনন্দপুর থানার OC-র সঙ্গে তুঙ্গে ওঠে হিরণের তরজা। 


বিজেপির তারকা প্রার্থীর অভিযোগ, কেশপুরে এজেন্টদের ভয় দেখানো হচ্ছে। অনেক জায়গায় বুথে বসতেই পারেননি বিজেপির এজেন্টরা। তারপর গ্রামে এজেন্টদের বাড়ি থেকে নিয়ে এসে বুথে বসান হিরণ চট্টোপাধ্যায় নিজেই। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের লোক এজেন্টকে মেরে তাড়িয়ে দিয়েছিল, আপনারা কোথায় ছিলেন, কেশপুর বিধানসভার আনন্দপুর থানা এলাকার কোরাঙ্গাপোতা প্রাথমিক স্কুলের ১১৯ নম্বর বুথে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই  প্রশ্ন করেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী।


সকাল থেকেই নিজের কেন্দ্রে চরকি পাক খাচ্ছেন হিরণ। এ বুথ থেকে ছুটছেন ওই বুথে। বারবার সম্মুখীন হচ্ছেন বিক্ষোভের। কোথাও কাথাও তৃণমূল বাহিনীর দাবি, হিরণ আসায় ভোট পদ্ধতিতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সকাল থেকেই বারবার হিরণের মুখে শোনা গিয়েছে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। এবার একযোগে উভয়কে বিঁধলেন পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। হিরণের দাবি উভয়ই তৃণমূল কংগ্রেসের সেটিং করে, একসঙ্গে নেমেছে তাঁকে হারাতে। অভিনেতার আত্মবিশ্বাসী উক্তি,  ' মানুষ ভোট দিয়ে আমাকে জেতাবে। মোদিকে জেতাবে। কারণ এটা মোদিজির ভোট। দাবি ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের।' 

হিরণের অভিযোগ, 'পঞ্চায়েত ভোটে এরকম সন্ত্রাস হয়নি। রাজ্য পুলিশ তবু এজেন্ট বসতে দিয়েছিল। কিন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী সেটুকুও করছে না।
তৃণমূলকে জেতাতে তৎপর কেশপুর, আনন্দপুরের দুই OC। গতকাল রাত থেকে তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল। বোমাবাজি, ঘর ভাঙচুর, হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি, বুথে এজেন্ট বসতে দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিককে ফোন করলে তিনিও দুর্ব্যবহার করেন। কোনও QRT নেই, বুথে ছাড়া কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, তারা ঘুমোচ্ছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও রাতে পিকনিক হয়েছে'  


রেমাল দাপটে ভাসবে মহানগরী, কলকাতায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।