কলকাতা:  করোনা পরিস্থিতিতে নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তীব্র তিরস্কার  মাদ্রাজ হাইকোর্টের। নির্বাচন পরিচালনা নিয়ে কমিশনের তীব্র সমালোচনা করেছে হাইকোর্ট। এর প্রতিক্রিয়ায় রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য প্রশ্ন তুলেছেন, সারা পৃথিবীতে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদি রাস্তায়  ঘুরে বেড়াচ্ছেন! মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায় হতাশাজনক ও  দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ২০১১-তে কেন আট দফা দাবি করেছিল তৃণমূল? তাঁর দাবি এভাবে মানুষকে আতঙ্কিত করা হচ্ছে। অথচ কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর এর  মোকাবিলায় হাসপাতালের  বেড বৃদ্ধি সহ রাজ্য সরকার কোনও  সদর্থক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।


 শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, মাদ্রাজ হাইকোর্টের মন্তব্যকে টেনে এনে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় নিজেদের ব্যর্থতার দায় ঢাকতে চাইছে তৃণমূল।


এই নির্দেশের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপির কথাতেই চলছে নির্বাচন কমিশন। শেষ দু’দফার ভোট একসঙ্গে করানোর জন্য আমরা আবেদন করেছি, কিন্তু তা শোনা হয়নি। 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, হাইকোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। আদালত পরিষ্কারভাবে বলেছে, কমিশন দায়িত্ব এড়াতে পারে না। কেরল, তামিলনাড়ুতে এক দফায়, অসমে দু দফায় ভোট হলে পশ্চিমবঙ্গে কেন আট দফায় ভোট করা হচ্ছে? মানুষকে মেরে ফেলার জন্য? বিজেপিতো প্রচার চালিয়েই যাচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকার বিজ্ঞাপন  দিচ্ছে । তৃতীয় দফার ভোটের সময় কোভিড সংক্রান্ত পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে, বোঝা গিয়েছিল। চিঠি লিখে জানিয়েছিলাম, দফা কমিয়ে ভোট করান। কিন্তু সেই দাবি শোনেনি কমিশন।


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি  অধীর চৌধুরী বলেছেন, মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষন প্রাসঙ্গিক। তবে শুধু কমিশনকেই  দায়ী করাটাই ঠিক নয়। কমিশন কেন্দ্র ও রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই নির্বাচন পরিচালনা করে।  কিন্তু করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কমিশন,কেন্দ্র, রাজ্য সবাই উদাসীন।


তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির সুবিধা করে দিতেই আট দফায় ভোট। সঠিক কথাই বলেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট।