ভাটপাড়া: নির্বাচনী মরশুমে সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে একের পর এক ভিডিও সামনে আসছে। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগে এতদিন যেখানে তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে নেমেছিল বিজেপি, ভাইরাল ভিডিওকে হাতিয়ার করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এখন সরব তৃণমূল। সেই আবহেই বাংলায় এসে সন্দেশখালি নিয়ে পাল্টা আক্রমণের পথ বাছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (Narendra Modi)
রবিবার ভাটপাড়ায় অর্জুন সিংহের হয়ে প্রচারসভায় ভাষণ দেন মোদি। সেখানে তিনি বলেন, "সন্দেশখালি নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে তৃণমূল। শেষ শাহজাহানের বাড়ি থেকে বোমা-বন্দুক উদ্ধার হচ্ছে। ভোট ব্যাঙ্কের জন্য শাহজাহানকে বাঁচাতে চাইছে তৃণমূল। সন্দেশখালিতে যা হয়েছে, তা গোটা দেশ দেখেছে। সন্দেশখালির মেয়েদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল।" (Sandeshkhali Viral Video)
ভাটপাড়া থেকে মোদি আরও বলেন, "সন্দেশখালির দোষীকে প্রথমে তৃণমূলের পুলিশ বাঁচাচ্ছিল। এখন আবার নতুন খেলা শুরু করেছে তৃণমূল। অত্যাচারীর নাম শেখ শাহজাহান বলেই তাকে বাঁচানোর চেষ্টা। তাঁকে ক্লিনচিট দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল।" গত কয়েক দিনে সন্দেশখালিকাণ্ডে একের পর এক ভিডিও সামনে এসেছে, সেই আবহেই এবার তৃণমূলকে বিঁধলেন মোদি।
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সংসদে আমার বিপরীতে বসেন মোদিজি। এতদিন বলছিলেন এবার ৪০০ পার। কিন্তু গত তিন দফার নির্বাচনের পর যে খবর আসছে, আপাতত ওদের ১০০ আসন কমে গিয়েছে। গোটা দেশ থেকে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছি। বিজেপি-র সেই হাওয়া এই মুহূর্তে নেই দেশে, রাজ্যে তো নেই-ই।"
শনিবার রাতেও সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ। তবে ভিডিও-য় আবারও দেখা গিয়েছে বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর মণ্ডলকে। ভিডিওয় টাকা বিলি নিয়ে কথোপকথন শোনা গিয়েছে। ৭২ জন মহিলাকে প্রথম দফায় টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে শোনা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের জন্য ৫০টি পিস্তল, ১২ রাউন্ড করে গুলি এবং হাতে ১ লক্ষ টাকার প্রয়োজন রয়েছে বলে শোনা গিয়েছে ভিডিওয়।
নতুন ভাইরাল ভিডিওটিতে নির্বাচনের সময় বুথ পিছু ৫ হাজার টাকার মদ লাগবে বলেও ভাইরাল শোনা গিয়েছে। এর আগেও একটি ভাইরাল ভিডিও-য় বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধরকে দেখা গিয়েছিল। সেখানে সন্দেশখালির মহিলাদের দিয়ে মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছিল বলে দাবি করতে শোনা যায় তাঁকে। শুভেন্দু অধিকারী টাকা এবং মোবাইল ফোন জুগিয়েছিলেন বলেও শোনা যায়। যদিও সেই সময় গঙ্গাধরের দাবি ছিল, যন্ত্রমেধার সাহায্যে তাঁর গলার স্বর নকল করা হয়েছে।