কলকাতা: পায়ে, মাথায়, কোমরে চোট নিয়ে এসএসকেএমে ভর্তি হয়েছিলেন। এখন কিছুটা সুস্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটু পরেই বাড়ি ফিরতে পারেন তিনি, খবর সূত্রের। চিকিত্সকদের কাছে বাড়ি ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন মমতা। তিনি বাড়ি ফেরার মতো অবস্থায় এসে গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকেরাও। বাড়িতে রেখেও ২-৩ দিন তাঁর চিকিত্সা করা যায়, মত চিকিত্সকদের। বাড়িতে কীভাবে থাকতে হবে, মমতাকে তাও জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।


সূত্রের খবর, প্লাস্টার কেটে দেখা গিয়েছে মমতার ব্যথা-ফোলা অনেকটাই কম। বাড়িতে মমতার চিকিত্সার পরিকাঠামো তৈরি নিয়ে আলোচনা চলছে।


গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশ করার পর পড়ে গিয়ে পায়ে-কোমরে চোট পান মমতা। নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। রানিচকের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় তাঁকে ৪-৫ জন ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা বলে মন্তব্য করেছে বিরোধীরা। 


পায়ে-কোমরে চোট পাওয়ার পর গ্রিন করিডর করে মমতাকে কলকাতায় ফেরানো হয়। নিয়ে যাওয়া হবে এসএসকেএমে। মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। ওই বোর্ডে ছিলেন সার্জারি, অর্থোপেডিক, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, মেডিসিন ও কার্ডিওলজি বিভাগীয় প্রধানরা। গ্রিন করিডর করে তাঁকে কলকাতায় ফেরানো হয়। রাতেই এসএসকেএমে পৌঁছে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসরা। মমতাকে দেখতে গিয়ে গো ব্যাক স্লোগান শুনতে হয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে।


ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। এই বিষয়ে দিল্লির নির্বাচন কমিশনকে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন বিস্তারিত রিপোর্ট দিলে, তাও পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে খবর। 


এডিজি আইনশৃঙ্খলা এবং ডিজিকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর আঘাত পেলেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পিছনে চক্রান্ত রয়েছে। এরকম অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের কাছে সরকারিভাবে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।