কলকাতা: গতকাল নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সকালে ঘটনাস্থলে যান পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েল ও পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ভিড় থাকায় কিছু দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় মানুষজন। তবে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন।


সকালে পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরেই নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে উত্তেজনা। মুখোমুখি বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূলের পোঁতা খুঁটিতেই মুখ্যমন্ত্রী চোট পেয়েছেন, এই দাবি তুলে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ওপর পরিকল্পিত হামলা হয়েছে। এনিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা শুরু হয়। উত্তেজনা চরমে ওঠায় দু’ পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায়।


এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার অভিযোগে আজও রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পথ অবরোধ তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের।দুর্গাপুরের মুচিপাড়া ও অন্ডালে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। অন্ডালের অবরোধ মিনিট পনেরো পরে উঠে যায়। আসানসোলের হটন রোডে টায়ার জ্বালিয়ে জিটি রোড অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা।


সকালে বাঁকুড়া-রানিগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা।


বর্ধমান-কালনা রোডে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। শক্তিগড় থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘণ্টাখানেক পর অবরোধ ওঠে।


নন্দীগ্রামের হাজরাকাটায় বিক্ষোভ মিছিল তৃণমূলের। সকালে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূল নেতা শেখ সাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে রাজারামচক থেকে হাজরাকাটা পর্যন্ত মিছিল করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।


শুভেন্দু অধিকারী যাওয়ার আগে গড়চক্রবেড়িয়াতে বিরোধিতা করে স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের। রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।


দেগঙ্গার তৃণমূল বিধায়ক রহিমা মণ্ডলের নেতৃত্বে টাকি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের। বেড়াচাঁপা-পৃথিবা রোড ধরে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করে এসে টাকি রোড চৌমাথাতে এসে রাস্তার উপরে বসে পড়েন তাঁরা।


সকাল সাড়ে ৮টা থেকে অবরোধ শুরু হয় আমডাঙার দারিয়াপুরে। হাবরা-নৈহাটি রোডে বেঞ্চ পেতে চলে অবরোধ। আমডাঙা থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘণ্টাখানেক পর অবরোধ ওঠে।


হাসনাবাদ-শিয়ালদা শাখার কড়েয়া-কদম্বগাছি স্টেশনে রেললাইন অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এর জেরে ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। ঘণ্টাখানেক পর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।


মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলার অভিযোগ তুলে গোপালনগরে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে চলে প্রতিবাদ। মুখ্যমন্ত্রীর ওপর হামলার নেপথ্যে বিজেপির ষড়যন্ত্র রয়েছে, এই অভিযোগ তুলে স্লোগানও দেন তাঁরা।


এর আগে রাত ১০টা নাগাদ চেতলা সেন্ট্রাল রোডে বিক্ষোভ দেখান যুব তৃণমূল কর্মীরা। নেতৃত্বে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মেয়ে সাবা হাকিম।