ডাবগ্রাম: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সাতদফায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাঁচ বছরের একটা সরকার বিভিন্ন স্তরে নির্বাচন করতেই বছর পার করে দিচ্ছে বলে এদিন কটাক্ষ করেন মমতা। এক বছর ধরে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে কাজ কবে হবে, প্রশ্ন তোলেন মমতা। এত দফায় নির্বাচন আগে কখনও হয়নি বলে জানান মমতা। (Mamata Banerjee)
শনিবার জলপাইগুড়ির ডাবগ্রামে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনী সভা করেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, "তিন মাস ধরে নির্বাচন হয় কখনও শুনেছেন? একটা সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায়। লোকসভা নির্বাচনে পাঁচ মাস, বিধানসভা নির্বাচনে তিন মাস, পঞ্চায়েত নির্বাচনে একমাস...। একটা বছর তো নির্বাচন করতেই চলে গেল, তাহলে কাজটা কবে হবে? ঘুঁটি সাজানোর বাবু-বিবিরা, একবারও কি ভেবে দেখেছেন?" (Lok Sabha Elections 2024)
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে এদিন মমতা জানান, বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে যখন তিনি এসেছিলেন, সেই সময় মাঠে ভিড় উপচে পড়ছিল। কিন্তু ফলাফল বেরোতে দেখা যায়, তাঁর দলের প্রার্থী হেরে গিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের সবক'টি আসনে বিজেপি-কে জিতিয়েছিলেন মানুষ। কিন্তু ভোটে জিতে দলের নেতারা কোনও কাজ করেননি সেখানে। তৃণমূল কী দোষ করেছিল, সাধারণ মানুষকে এদিন প্রশ্ন করেন তিনি।
মমতা জানান, কোচবিহার, বালুরঘাট, মালদা বিমানবন্দর তাঁদের তৈরি। পদাতিক এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেস, উত্তরকন্যা এক্সপ্রেস তিনি উত্তরবঙ্গকে দিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। জলপাইগুড়িকে অমৃতসর, দিঘার সঙ্গে তিনিই সংযুক্ত করেন বলে জানান। দার্জিলিং-এর টয়ট্রেন হেরিটেজ সম্মান হারিয়ে ফেলেছিল, তিনি এসে সেই সম্মান উদ্ধার করেন বলেও জানান মমতা। যত মেট্রো রেলের প্রকল্প, সবের টাকা তিনি অনুমোদন করিয়ে গিয়েছিলেন, বিজেপি নয় বলে জানান।
১০০ দিনের কাজ, সড়ক, আবাসের কাজে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, দেবে না বলছে এবং মানুষের ভোট পাওয়া বিজেপি নেতারা কেউ তা নিয়ে ভাবিত নন বলে দাবি করেন মমতা। ১০০ দিনের কাজের টাকা তাঁর সরকার দিয়েছে, তাহলে বিজেপি কেন ভোট পাবে, প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি জানান, কেন্দ্রের কাছে মাথা নোয়াবে না রাজ্য। দিল্লির জন্য় তাকিয়ে না থেকে ৫০ দিনের কাজের ব্যবস্থা করে দেবে তাঁর সরকার।