কলকাতা: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশ ৷ প্রতিদিনই রেকর্ড সংখ্যক মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন ৷ মারণ ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে পারলেন না বনগাঁ লোকসভার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরও ৷ তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৷ ভর্তি রয়েছেন বেলেঘাটা আইডিতে ৷ আপাতত তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে ৷
রবিবার গাইঘাটায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারসভায় অংশ নিতে যাওয়ার আগে নিজের কোভিড পরীক্ষা করান মমতাবালা। তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওইদিনই বনগাঁর হাসপাতালে গিয়ে পুনরায় নিজের কোভিড পরীক্ষা করালেও রিপোর্টে কোনও হেরফের ঘটেনি ৷ এরপরেই চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করা হয় ৷
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতি মুহূর্তে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে জনসাধারণের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে চলছে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট পর্ব। এখনও বাকি তিন দফা নির্বাচন ৷ কিন্তু কমিশনের একদিনে ভোট করানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক এবং রুপোলি পর্দার ব্যক্তিরা একের পর এক ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছেন। এবার সংক্রামিত হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরও।
এদিকে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত আরও এক প্রার্থী। যাদবপুরের সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর শরীরে মিলেছে সংক্রমণ। গতকাল, মঙ্গলবার চেস্টের সিটি স্ক্যান করার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে ভর্তি করা হয় বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে। এরপর ভোররাতে সুজন চক্রবর্তীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে। করোনার মৃদু উপসর্গ রয়েছে তাঁর।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের একের পর এক নেতা প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। লালদুর্গে একের পর এক করোনার থাবা বসেছে। এর আগে রাজ্যে একাধিক প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক ও জঙ্গিপুরের আরএসপি প্রার্থী প্রদীপ নন্দীর।