দক্ষিণ ২৪ পরগনা: প্রথমে হরিদেবপুরে আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে। তারপর শিশুর ওপর হামলায় অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়েই সভা। জোড়া ঘটনা ঘিরে সোমবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে কলকাতার মেয়র তথা বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শোভন চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার হরিদেবপুরের দড়িরচক গ্রামে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। লাঠির ঘায়ে মথা ফেটে যায় সাত বছরের এই শিশুর। অভিযুক্তরা থানা থেকেই জামিন পেয়ে যান। এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের পারদ চড়ছিলই। সোমবার আক্রান্ত শিশুর বাড়িতে গিয়ে তার আঁচ টের পেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। দরজার গোড়াতেই তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দিলেন শিশুর মা।
সেখান থেকে ঘরের দিকে এগোতেই আবার অপ্রস্তুত মেয়র। এবার সামনে আক্রান্ত শিশুর ঠাকুমা। শেষমেশ সেখানেই চেয়ার নিয়ে বসেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে এসব কথায় আক্রান্ত শিশুর পরিবারের ক্ষোভের আঁচ একটুও কমেনি। উল্টে তাঁরা একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দেন মেয়রের দিকে। প্রশ্নবাণ এখানেই শেষ হয়নি। মেয়রের কাছে হুমকির কথা জানান তিনি।




তবে মেয়রের এই অভয় আশ্বাস আদৌ কতটা আন্তরিক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে কিছুক্ষণের মধ্যেই। কারণ, শিশুর ওপর হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সর্বেশ্বর মণ্ডলকে নিয়েই তিনি এদিন সভা করেছেন। তাও আক্রান্ত শিশুটির বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে।
এই এলাকার বহু ভোটারের দীর্ঘদিন ভোট না দিতে পারার পিছনে নতুন তত্ত্বও খাড়া করেছেন তিনি। বলেন, উন্নয়নের জন্য তৃণমূলকে ভোট দিতে চাইছিল লোকজন। কিন্তু, ওরাই বলে আপনারা কি বিশ্বাস করবেন? তাই ভোট দেব না।
আক্রান্ত শিশুর পরিবারের প্রশ্ন, এরপর কি আর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওপর অভয় আশ্বাসের ওপর ভরসা করে বসে থাকা যায়! আক্রান্ত শিশুর মা বাসন্তী বর বলেন, চলে গেলে কী হবে সেটাই তো ভয়। ৫০ শতাংশ ভয় এখনও আছে। হুমকি আছে। ভয় তো থাকবেই।
হরিদেবপুরকণ্ডে অভিযুক্তরা থানা থেকেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তারপর আবার তৃণমূল প্রার্থীই তাদের নিয়ে সভা করছেন। এই ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত হওয়া তো দূরের কথা, বরং সংশয় আরও জোরাল স্থানীয় বাসিন্দাদের।