কলকাতা: ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের সর্বোচ্চ জেলা পরিষদের (Zilla Parishda) ভোটে কোন দিকে ঝুঁকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)? আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থা সি ভোটারের ( C Voter) জনমত সমীক্ষা (Opinion Poll) বলছে, মোট ৭৮ আসনের মধ্যে তৃণমূলের ঝুলিতে যেতে পারে ৩০ থেকে ৪০-র মতো আসন। বাম-কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৩৩-৪৩ টি আসন। বিজেপির ঝুলিতে পেতে পারে ২-৬টি আসন। 


ফিরে দেখা...
গত বার অর্থাৎ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের মোট আসন ছিল ৭০। তার মধ্যে ৬৯টি-ই পেয়েছিল তৃণমূল। একদা কংগ্রেস দুর্গ বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদের জেলা পরিষদের মোটে ১টি আসন যায় হাতশিবিরের ঝুলিতে। বাম ও আইএসএফ খাতাই খুলতে পারেনি। তবে গত পাঁচ বছরে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গিয়েছে বলে দাবি রাজ্যের বিরোধী শিবিরের। সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে জিতে এসে রাজ্য রাজনীতির গতিধারায় হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বায়রন বিশ্বাস। পরে তিনি তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেও মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের পালের হাওয়া যে তাতে হঠাৎ উল্টো দিকে বইতে শুরু করবে না,  সে ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। গত মার্চেই তৃণমূল এবং বিজেপি ছেড়ে দলে দলে লোকজন যোগ দিয়েছেন হাত-শিবিরে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী খোদ সেই যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন। যদিও দলে ভাঙনের খবর অস্বীকার করে তৃণমূল-বিজেপি দুই দলই (Panchayat Elections)। শুধু মার্চ নয়, চলতি মাসের গোড়ার দিকেও এক কংগ্রেস কর্মী খুনের ঠিক তিনদিনের মাথায় মুর্শিদাবাদ জেলায় ফের তৃণমূলে ভাঙন ধরে বলে খবর। কংগ্রেসের দাবি, খড়গ্রামে শাসকদল ছেড়ে তাদের দলে যোগ দেন তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক। কংগ্রেসের আরও দাবি, যোগ দেন তৃণমূলের উপপ্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য-সহ প্রায় ৭০০ নেতা, কর্মী। সে দিনও অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের ভাইপো আনারুল হক বিপ্লব শাসকদল ছেড়ে যোগ দেন কংগ্রেসে। জেলা পরিষদের প্রার্থী পদে লড়ছেন তিনি। তৃণমূল সাংসদের ভাইপোর নামে সামশেরগঞ্জে দেওয়াল লিখনও শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। অবশ্য আখেরে তাতে ছবি কতটা বদলাবে তা বুঝতে অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই।


তবে একথা মনে রাখা দরকার যে, জনমত সমীক্ষা হোক বা বুথফেরত সমীক্ষা, কোনওটিই সাধারণত নির্ভুল হয় না। গণতন্ত্রে শেষ কথা বলেন মানুষই। সমীক্ষা স্রেফ তাঁদের মনোভাবের আন্দাজ দিতে পারে। আখেরে কী হবে, তা জানা যাবে ১১ জুলাই। 


আরও পড়ুন:মনোনয়ন পর্বে হিংসার জন্য় তৃণমূলের ভাবমূর্তি কি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? কী বলছে C Voter-র সমীক্ষা?