কলকাতা : গণনাকেন্দ্রে ভিড় এড়াতে নয়া নির্দেশ জারি করল নির্বাচন কমিশন। নতুন নির্দেশিকায় ছাড় পাননি খোদ প্রার্থীরা। কমিশন বলেছে, গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে গেলে প্রার্থীদের কাছে থাকতে হবে দুটি কোভিড টিকা নেওয়ার প্রমাণ। অথবা কোভিড নেগেটিভ হওয়ার সার্টিফিকেট। অন্যথা, গণনাকেন্দ্রে যেতে পারবেন না তাঁরা।
আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। ২ মে, রবিবার ঘোষিত হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। আগেভাগেই কোভিড পরিস্থিতি এড়াতে বেশকিছু নির্দেশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, ভোটের ফল বেরনোর পর কোনও বিজয় উৎসব করতে পারবে না কোনও দল। অসম, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা ও পুদুচেরির নির্বাচন নিয়েই এই ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার নতুন করে আরও কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। যাতে বলা হয়েছে, প্রার্থী ও এজেন্টের আরটিপিসিআর টেস্টে নেগেটিভ এলেই ঢুকতে দেওয়া হবে গণনাকেন্দ্রে। তবে এক্ষেত্রে রয়েছে কিছু নিয়ম। গণনা শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগের রিপোর্ট দেখাতে হবে কমিশনকে। কোনওভাবে আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্ট না হলে Rapid Antigen test রিপোর্টও গণ্য করা হবে। এই দুইয়ের কিছু না থাকলে প্রার্থীকে দেখাতে হবে ভ্যাকসিনেশন রিপোর্ট।
এবার থেকে প্রার্থীদের তিনদিন আগে কাউন্টিং এজেন্টদের তালিকা দিতে হবে কমিশনকে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, করোনাকালে রাজনৈতিক দলগুলির ভিড়ে ঠাসা মিছিল বা সভা ভাল চোখে দেখেনি মানুষ। যা বেশ উপলব্ধি করেছেন নেতারাও। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, মাস্ক না পরে মিছিলে চলে এসেছেন কর্মী-সমর্থকরা। সামাজিক দূরত্ব মানা তো দূরের বিষয়, সভায় গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েছেন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা।
গত সপ্তাহেই নির্বাচনী সভায় ৫০০ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। এরপরই বঙ্গে নির্বাচনী সভা বাতিল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি দেশের ঊর্ধ্বমুখী কোভিড পরিস্থিতির জন্য নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তোলে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য একমাত্র নির্বাচন কমিশন দায়ী। বিভিন্ন রাজ্যে যখন নির্বাচনী মিছিল হচ্ছিল, তখন তাঁরা কি অন্য গ্রহে ছিলেন? কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা উচিত।