হুগলি: হুগলির উত্তরপাড়ায় ফিরে এল গতবছরের কনটেনমেন্ট জোনের ছবি। বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় নবীনকৃষ্ণ বাবু লেন। স্থানীয় বিদায়ী কাউন্সিলরের অবশ্য দাবি, কনটেনমেন্ট জোন এখনই হয় না। তবে এই পাড়ার বাসিন্দা একজনের করোনায় সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন এখন করোনা আক্রান্ত। তাই বাসিন্দাদের সচেতন করতেই বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।  


উত্তরপাড়া-কোতরং মিউনিসিপ্যালিটির পুরপ্রশাসক শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওয়ার্ড নম্বর ১৩-এ নবীনকৃষ্ণ বাবু লেনে একটি জায়গাকে স্থানীয় কিছু মানুষজন মিলে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে দিয়েছেন ৷ এবং কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে তা লোকমুখে প্রচার হচ্ছে ৷ বিষয়টা একেবারেই তেমন নয় ৷ এটাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা বা স্বীকৃতি দেওয়ার কোনওরকম সরকারি নির্দেশ আমাদের কাছে নেই ৷ আমরা সাধারণ মানুষের সাহায্যের জন্য ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম খুলেছি ৷ হাসপাতাল ও অ্যাম্বুল্যান্সের নম্বর বিভিন্ন জায়গায় ডিসপ্লে করেছি ৷ অযথা তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই ৷’’


করোনা লাফিয়ে বাড়ছে হুগলি জেলায়। ফলে, ভ্যাকসিনের চাহিদাও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ভ্যাকসিনের অভাব তত প্রকট হচ্ছে।


এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে আংশিক সময় বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিদিন দুপুর ৩টে থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সব বাজার, দোকানপাট, শপিংমল। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চলবে বলে পুরসভা সূত্রে দাবি। 


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় কামারহাটি পুরসভা এলাকায়  করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। সোমবারই ১৬০ জনের বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। কামারহাটি পুরসভার মুখ্য প্রশাসক গোপাল সাহা-সহ বিদায়ী কাউন্সিলরদের কয়েকজন করোনা আক্রান্ত। এই অবস্থায় গতকাল, মঙ্গলবার ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যরা। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, আগামীকাল থেকে প্রতিদিন দুপুর ৩টে থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত  সব বাজার, দোকান, রেস্তরাঁ এবং শপিং মল বন্ধ রাখার।  ছাড় দেওয়া হবে শুধু দুধ ও ওষুধের দোকানকে।


মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নিয়ম মানা না হলে পুরসভা ও  বেলঘরিয়া থানার পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে। পুরসভার বিভিন্ন এলাকা ও ১২টি বাজারে নজরদারি চালানো হবে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে কলকাতার পরেই, রাজ্যে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণে রাশ টানতে সোমবার রাতে, বৈঠকে বসে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট, বরানগর থানা, বরানগর পুরসভা ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরানগরে বাজার ও সংলগ্ন এলাকায় আংশিক নিয়ন্ত্রণ চলবে। আপাতত সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত বরানগরে বাজার ও দোকানপাট খোলা থাকবে। তারপর আর বাজার, দোকান খোলা রাখা যাবে না।