বোলপুর : ২৭ তারিখে নজরবন্দি করা হয়েছিল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। আজ মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সামনে দিয়েই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলেন অনুব্রত। তাঁকে ধাওয়া করেও লাভ হয়নি। গাড়ির ভিড়ে কার্যত তাঁর হদিশ হারিয়ে ফেলেন জওয়ানরা। সূত্রের খবর, এরপর থেকেই বাহিনী তৃণমূলের জেলা সভাপতির গাড়ি খুঁজে বেরাচ্ছেন।


কাল, ২৯ এপ্রিল শেষ দফায় ভোট বীরভূমে। তার আগেই গত মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত তাঁকে নজরবন্দি রাখবে কমিশন। একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। কাজেই তাঁকে নজরবন্দি রাখাতে বোলপুরে তাঁর বাড়ির বাইরে মোতায়েন হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৮ জন জওয়ান। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তাঁর গতিবিধি ভিডিওগ্রাফি করা হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরে পাশাপাশি বীরভূমের জেলা সভাপতির সঙ্গে থাকবেন একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। 


এর আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময়েও নজরবন্দি করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। এ বিষয়ে বীরভূম জেলা সভাপতি বলেন, নজরবন্দি মানে কি গৃহবন্দি না কি ? নজরবন্দি মানে তো আমার সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং জওয়ানরা থাকবেন। আমি যেখানে যেখানে যাব আমার সঙ্গে তাঁরা যাবেন।" ফের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তিনি জানিয়েছেন, "খেলা হবে।" 


যদিও আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,  "প্রত্যেকবার ভোটের আগে অনুব্রতকে নজরবন্দি করে রেখে দেওয়া হয়। এটা ঘোরতর 'অপরাধ'। ওঁকে বলেছি, এইবার এরকম কিছু হলে তুমি আদালতে যাবে। নিরাপত্তা নেবে।"



উল্লেখ্য, ঠিক বীরভূমে ভোটের মুখেই গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজির হতে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেই তাঁর এক সহযোগীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। তবে মঙ্গলবার, সিবিআই দফতরে আজ হাজির হতে পারবেন না বলে জানান অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর সহযোগী। পাশাপাশি নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও বলেন "কেষ্টকে বলেছি, একদম যাবি না"