নয়াদিল্লি: 'টেলিভিশন দুনিয়ায় যাদের টিআরপি ভাল, তারাই ভাল রেটে বিজ্ঞাপন পায়', নির্বাচনী বন্ড নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ-মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ির (Nitin Gadkari On Electoral Bond)। সঙ্গে বলেন, 'আজ আমরা শাসকদল, তাই আমরা বেশি অনুদান পেয়েছি। কাল অন্য কোনও দল ক্ষমতায় এলে, তারা বেশি অনুদান পাবে।' নির্বাচনী বন্ড নিয়ে এসবিআই যে তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে, তাতে দেখা যায় এর মাধ্যমে সবথেকে বেশি অনুদান পেয়েছে বিজেপি। তার পর থেকে তুমুল জল্পনা-বিতর্ক শুরু হয়। সেই বিতর্কের প্রেক্ষিতে গডকড়ির এহেন মন্তব্যে আলাদা তাৎপর্য খুঁজে পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।


আর যা...
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এক সংবাদসংস্থাকে হালে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তাতে আরও জানান, প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলেরই অর্থের প্রয়োজন। সেই আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করতে আইনি বিকল্প খুঁজে বের করা দরকার জরুরি, মত গডকড়ির। তাঁর কথায়, 'সুপ্রিম কোর্ট যা বলার তা বলেছে। তবে এবার সবকটি রাজনৈতিক দলের একজোট হওয়া জরুরি। কিছু দেশে, রাজনৈতিক দলগুলিকে সরকারই আর্থিক সাহায্য দেয়। আমাদেরও কিছু বিকল্প খুঁজতে হবে, এটা আমার মত।' কিন্তু একদিকে যখন নির্বাচনী বন্ডের 'অসাংবিধানিক' হওয়া নিয়ে এত আলোচনা, অন্য দিকে তখন কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলের অভিযোগ, আয়কর দফতরকে ব্যবহার করে তাঁদের আর্থিক মেরুদন্ড ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট 'ফ্রিজ' করার পাশাপাশি ৩৫০০ কোটি টাকার নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। এই নিয়ে আগেই তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে কংগ্রেস। তা ছাড়া, বিরোধী শিবিরের আরও দাবি, ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গডকড়ি বলেন, 'পুরোপুরি ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমরা কোনও কিছুকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছি না। আইন নিজের পথে চলছে। এখন কারও বাড়িতে ৩০০-৪০০ কোটি টাকা পাওয়া গেলে সেটিও মানুষ দেখছেন। তার পর তদন্ত হচ্ছে। সেখানে কিছু প্রমাণ পাওয়া গেলে পদক্ষেপ করা হয়েছে। তাতে কারও কোনও ক্ষোভ থাকলে, আদালত তো রয়েছেই।'


লোকসভা ভোটের আগে বিতর্ক...
প্রথমে ঝাড়খন্ডের মুখ্য়মন্ত্রী হেমন্ত সরেন, তার পর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-দুজনের গ্রেফতারি ঘিরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে। তবে কোনও অভিযোগকেই আমল দিতে নারাজ নীতিন গডকড়ি। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এবার যে এনডিএ সরকার ৪০০ আসন পেরিয়ে যাবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি।   


আরও পড়ুন:'মহুয়ার বৃদ্ধ বাবা-মাকেও ছাড়েনি...' কৃষ্ণনগরে তোপ মমতার