লোহারডাগা: চলতি লোকসভা নির্বাচনে প্রথম তিন দফার ভোটের পর নিশ্চিত হার বুঝতে পেরেই বিরোধী দলগুলি অজুহাত খুঁজছে। আজ ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের প্রতি তাঁর কটাক্ষ, ‘শিশুরা যেমন পরীক্ষার ফল ভাল না হলে অজুহাত দেয়, বিরোধী দলগুলিও তেমনই নিজেদের খামতি আড়াল করতে ইভিএম ও ভোটের প্রক্রিয়ার উপর রাগ দেখাচ্ছে। প্রথম তিন দফার ভোটের পর বিরোধীদের হার স্বীকার করে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।’


গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের নেতারা ইভিএম-এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা ফের ইভিএম-এর সঙ্গে ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ মিলিয়ে ভোটের ফল ঘোষণা করার দাবি জানান। সে কথা উল্লেখ করেই বিরোধীদের আক্রমণ করেন মোদি। তিনি কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘পাকিস্তান যখন ভারতে হামলা চালানোর হুমকি দেয়, তখন যে দলটি চোখের জল ফেলে, তারাই এখন দিল্লির ক্ষমতা দখল করতে চাইছে।’

ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পর্কে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর বিতর্কিত মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে মোদি বলেন, ‘এই ধরনের মন্তব্য সেনাবাহিনীর মনোবলে ধাক্কা দেবে। সীমান্তে লড়াই করার জন্য সাহস দরকার। যাঁরা বলেন, শুধু গরিবরাই জীবিকার প্রয়োজনে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন, তাঁদের ডুবে মরা উচিত।’

প্রধানমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ‘ইরাকে যখন ৪৬ জন নার্সকে অপহরণ করা হয়েছিল, তখন আমরা আমাদের মেয়েদের ফেরানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করেছিলাম। কলকাতার জুডিথ ডি’সুজাকে যখন আফগানিস্তানে অপহরণ করা হয়েছিল, তখন আমরা তাঁকে উদ্ধার করি। দেশের মেয়েদের নিরাপত্তার দিকে সবসময় চৌকিদারের নজর থাকে। বিজেপি সরকারের প্রচেষ্টার ফলেই মাওবাদীরা পিছু হঠছে। মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চলের আদিবাসী যুবকরা হিংসার পথ ছেড়ে দেশের উন্নতির জন্য কাজ করতে এগিয়ে আসছেন।’