ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: কংগ্রেস (Congress) ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দিল ৩০০ জন। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের জেলায় জেলায় শাসকদলের ভাঙনও ধরা পড়েছে একাধিক জেলায়। তবে উলটপুরাণ হাসন বিধানসভা এলাকার বারা গ্রামে। হাসন বিধানসভার বারা গ্রামে এই যোগদানের আয়োজন করা হয়। বারা গ্রামপঞ্চায়েতে অঞ্চল সভাপতি সহ প্রায় ৩০০ জন কর্মী যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন হাসন বিধানসভার বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে তৃণমূল শিবিরে ভাঙন ধরা পড়েছিল। কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন শাসকদলের সোশাল মিডিয়া সেলের নেতা গগন ঘটক ও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির ৩ নম্বর আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হন গগনের স্ত্রী নিবেদিতা ঘটক। এবার দলবদল করলেন তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের এই নেতাও। তাঁর দাবি, দুর্নীতির প্রতিবাদেই তৃণমূলের সঙ্গ-ত্যাগ। আগামী দিনে আরও অনেকে শাসকদল ছেড়ে তাদের দলে যোগ দেবে বলে কংগ্রেসের দাবি।গগন সোশাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিলেন, ফলে তাঁর দলত্যাগে সংগঠনের ক্ষতি হবে না, প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল ঘাসফুল শিবির।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll 2023) আবহে হিংসার মধ্য়েই জেলায় জেলায় দলবদলের হিড়িক। পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি। তিন জেলায় তৃণমূলে ভাঙন ধরাল সিপিএম। যদিও দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল। গতমাসেই, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার পর প্রকাশ্যে এসেছিল রায়দিঘির ইস্যু। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই জেলাতে তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিয়েছিলেন মথুরাপুর-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য, একাধিক বর্তমান ও প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি। 'সবমিলিয়ে তৃণমূলের নেতা, কর্মী ও সমর্থক মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার', বলে দাবি করেছিল সিপিএম জেলা নেতৃত্ব।
রায়দিঘি বিধানসভার শঙ্করপুর, আবাদভগবানপুর-সহ একাধিক অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্ব দলবদল করেছিলেন। দলত্যাগীদের হাতে লাল গোলাপ তুলে দিয়েছিলেন কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়-সহ জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। এদের মধ্যে ছিলেন মথুরাপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষ জাকির হোসেন মোল্লা ওরফে মন্টু, পঞ্চায়েত সদস্য সাহাবুদ্দিন হালদার, মিনাজউদ্দিন হালদার, একাধিক অঞ্চল ও বুথ সভাপতি। বর্তমান সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদে তাঁরা দল ছাড়লেন বলে জানিয়েছিলেন দলত্যাগীরা।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
অপরদিকে, একই দৃশ্য পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতেও। সিপিএমের দাবি, বকপুর পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও স্থানীয় কয়েকজন নেতা-সহ ৪০০ জন যোগ দিলেন তাদের দলে। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতেও শাসকদলে ভাঙন ধরাল সিপিএম। বুথ সভাপতি সহ প্রায় ১৫০ জন তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগদান করল। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে যোগদান মেলার আয়োজন করেছিল বিজেপি। বিধানসভা ভোটে জয়ের পরে দলবদলের স্রোত দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের দিকে। আর এবার গ্রামবাংলা দখলের লড়াইয়ের আবহে জেলায় জেলায় শাসকদলে ভাঙন ধরাচ্ছে সিপিএম।