মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat ELection 2023) ঘিরে ফের রক্তাক্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence), চলল গুলি। সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে (CPM TMC Clash) রণক্ষেত্র ডোমকল, ৪জন গুলিবিদ্ধ। সিপিএমের মিছিল থেকে হামলা, গুলি চলার অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলেই গুলি, পাল্টা দাবি সিপিএমের। কাল অভিষেকের রোড শো, তার আগে ফের উত্তপ্ত ডোমকল।


পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা-গুলিবর্ষণের ঘটনা অব্যহত মুর্শিদাবাদে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে একই দিনে জেলার তিনটি জায়গা থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়। রঘুনাথগঞ্জ, হরিহরপাড়া ও রেজিনগরে উদ্ধার হয়েছিল ৩ ব্যাগ তাজা বোমা। রঘুনাথগঞ্জের জেঠিয়া এলাকায় পুকুর পাড়ে বাগানের মধ্যে একটি ব্যাগে ১০টির মতো বোমা দেখতে পেয়েছিলেন স্থানীয়রা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অশান্তি বাধাতেই বোমা মজুত করা হচ্ছিল বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। হরিহরপাড়ার জগন্নাথপুর শিবনগর গ্রামে পাট খেতে পড়েছিল বোমা ভর্তি ব্যাগ। ওই ব্যাগে প্রচুর সকেট বোমা ছিল বলে পুলিশের অনুমান। রেজিনগরের নাজিরপুর মধুপুরে একটি বাড়ির পিছন থেকে ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়েছিল। এর আগে বেলডাঙায় পাট খেতে বসে বোমা বাঁধতে গিয়ে এক দুষকৃতীর মৃত্যু হয়েছিল। একদিনে রানিনগরে তিনবার বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছিল। এভাবে ঘন ঘন বোমা উদ্ধার ও বোমাবাজিতে গোটা মুর্শিদাবাদ জুড়েই আতঙ্কের পরিবেশ। 


অপরদিকে ভাঙড়, ক্যানিংয়ের পর সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, 'যেখানে ভোট-অশান্তি সেখানেই যাব।' সন্ত্রস্ত এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে চান রাজ্যপাল। 'সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলেও বেছে বেছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই', প্রশাসনকে নিশানা করে ফের বললেন রাজ্যপাল। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে মনোনয়ন পর্বের দিন থেকে একের পর এক হিংসার ঘটনা উঠে আসছে। জেলায় জেলায় একাধিক রাজনৈতিক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দিকে দিকে অশান্তির ছায়া ধরা পড়েছে। যে কারণে ভাঙড়-সহ একাধিক জায়গায়, মূলত যে জায়গাগুলিতে অশান্তি চরমে পৌঁছেছিল, সেই জায়গায় সফর করেছেন ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল। হিংসা রুখতে, অভিযোগ জানাতে রাজভবনে খোলা হয় চব্বিশ ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম। আর এমনই এক আবহ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেন রাজ্যপাল।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ? 


রাজ্যপাল সম্প্রতি আরও বলেছিলেন,' আমি তাঁকে মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ করেছিলাম। মানুষের রক্তপাত নিয়ে দরাদরি করা যায় না। হিংসাকে যেকোনও মূল্যে নির্মূল করতে হবে। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও জায়গা নেই। হিংসা কোনও অবস্থাতেই কাম্য নয়, কিন্তু হিংসা হচ্ছে। মানুষের রক্তের প্রতি বিন্দুর দায় নিতে হবে কমিশনারকে। যে কোনও পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।'