প্রসূন চক্রবর্তী, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে (Bankura Gangajalghati) তৃণমূলের ভাঙন অব্যাহত। নিত্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুর গ্রামে তৃণমূলের শতাধিক কর্মী নাম লেখালেন বিজেপি শিবিরে (BJP)। তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচন ও দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন দলত্যাগীরা। যদিও দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল (TMC)। 


মনোনয়ন পর্ব মিটতে না মিটতেই বড়সড় ভাঙন শাসকদলে ৷ দলের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে রবিবার চৈতন্যপুর গ্রামের ২৪০ জন কর্মী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি তে যোগ দেন বলে অভিযোগ ৷ বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিল্লেশ্বর সিনহার উপস্থিতিতে তাঁরা তুলে নিলেন বিজেপির পতাকা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের তৃণমূলের প্রার্থী চয়ন এবং বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে সরব হন দলত্যাগীরা। পঞ্চায়েতের ভোটের একদম মুখে রদবদল ভোটে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ যদিও এই বিষয়ে গুরুত্ব নিতে নারাজ শাসকদল৷


সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগে কেষ্টহীন বীরভূমেও তৃণমূলে (TMC) ভাঙন প্রকাশ্যে আসে। সিউড়িতে তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শতাধিক কর্মী। 'তৃণমূলে কাজ করার মতো পরিস্থিতি নেই, দম বন্ধ হয়ে আসছিল'। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন দলত্যাগীরা । যদিও সেবারও গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল । কেষ্টবিহীন বীরভূমে (Birbhum) ফের প্রকাশ্যে এসেছিল তৃণমূলের দ্বন্দ্বও।  





উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার যাত্রার পরের দিনই তৃণমূলে ভাঙন। হাবড়া (Habra) ২ নম্বর ব্লকে শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাটিয়াগাছা এলাকার শতাধিক যুব তৃণমূল কর্মী যোগ দিলেন কংগ্রেসে। অভিষেক জেলায় থাকাকালীন উত্তর ২৪ পরগনায় শাসকদলে ভাঙন ধরায় খুশি কংগ্রেস। দলত্যাগীদের স্বাগত জানিয়েছে তারা। এর ফলে কংগ্রেস শক্তিশালী হবে বলে জানিয়েছেন প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সম্পাদক অরিজিৎ চক্রবর্তী।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


অপরদিকে, এর আগে মালদার মানিকচকে তৃণমূলে ভাঙন। কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্যা-সহ প্রায় ২০০ জন নেতা, কর্মী। এনায়েতপুরে তৃণমূলত্যাগীদের হাতে দলের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক ও জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোত্তাকিন আলম। তৃণমূলত্যাগীদের দাবি ছিল, দলে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল। তাই দুর্নীতিগ্রস্ত দলের সঙ্গ ছাড়তেই কংগ্রেসে যোগদান। এত দুর্নীতি সহ্য করতে পারছিলেন না বলেই তৃণমূলের ভাল লোকেরা তাদের দলে আসছেন বলে কংগ্রেসের দাবি।