নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananad Bose)। পঞ্চায়েত ভোটে বেলাগাম সন্ত্রাসের পর দিল্লি গিয়ে অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাংলার রাজ্যপাল। এরপরই তিনি মন্তব্য করেন, ''সূর্যোদয়ের আগে ঘন অন্ধকার থাকে। শীত থাকলে বসন্ত আসবেই, সুড়ঙ্গের শেষে মিলবে আলোর দিশা।'' এদিন রাজ্যপাল দেখা করার কথা রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোট শেষ হতেই আচমকা দিল্লি সফরে চলে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। গত শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন উত্তর ২৪ পরগনার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে বেড়ান রাজ্য়পাল। গাড়িতে বসেই শোনেন প্রার্থীদের অভিযোগ। আবার রাজনৈতিক সন্ত্রাসে জখম, নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে দেখতে হাসপাতালেও পৌঁছে যান তিনি। এই প্রেক্ষাপটে ভোট শেষ হতেই রাজ্যপালের দিল্লি যাত্রা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। মনে করা হচ্ছে, ভোট-সন্ত্রাস নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট দিতে পারেন তিনি।
গত ৮ জুলাই ভোটের দিন গ্রাউন্ড জিরো থেকে বার্তা দিয়ে রাজ্য়পাল বলেন। সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনও আপস নয়। অশান্তির বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। এরপর সকাল থেকে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান সিভি আনন্দ বোস। শোনেন বিরোধীদের অভিযোগ। ভোট সন্ত্রাসে জখম, নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে দেখতে যান।
বেলাগাম সন্ত্রাস, মৃত্য়ুমিছিল, মায়ের কান্না, এই না কি রাজনীতি! আরও একটা ভোট। ফের মায়ের চোখে জল। আর এরইমধ্য়ে ভোট দেখতে পথে রাজ্য়পাল। কখনও গাড়িতে বসেই শুনছেন প্রার্থীদের অভিযোগ, কখনও ভোট সন্ত্রাসে জখম রাজনৈতিক কর্মীকে দেখতে ছুটে যাচ্ছেন হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস এদিন বলেন, 'আমি ফিল্ডে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি। আমি মনে করি কোনও লিখিত রিপোর্টের তুলনায় গ্রাউন্ড জিরোর অভিজ্ঞতা সবসময়ই ভাল। এই উদ্বেগের বিষয় নিয়ে আমি প্রশাসনিক সহকর্মীদের কিছু পরামর্শ দেব। ভোটের দিন বুথগুলো সুরক্ষিত, নাকি ভোটাররা আতঙ্কিত, ব্য়ালট বুলেটে পরিণত হচ্ছে কিনা... সেটা বুঝে অ্য়াকশন নেওয়া উচিত।'
শুক্রবারই রাজ্য়পাল জানিয়েছিলেন ভোটের দিন রাস্তায় থাকবেন তিনি। শনিবার ভোট শুরুর আগে থেকেই রাস্তায় দেখা গেল সিভি আনন্দ বোসকে। ভোটে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাস। এদিন সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ। তার পৌনে একঘণ্টা আগে, সোয়া ৬টা নাগাদ রাজভবন থেকে রওনা হন রাজ্য়পাল।