হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার মানবাজারের কেন্দাডি গ্রামে বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু (BJP Leader Death Mystery)। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কোনও হিংসার ঘটনায় যবনিকা পড়ছে না। ইতিমধ্যেই রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রায় অধিকাংশ দিনই কমবেশি খুনের খবর প্রকাশ্যে আসছে। আর এবার বোড়ো থানা অন্তর্গত কেন্দ্রাডী গ্রামের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী বঙ্কিম হাঁসদার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 


পুরুলিয়ার মানবাজারে BJP কর্মীর রহস্যমৃত্যু 


জানা গিয়েছে, রাস্তার ধারে খেতের মধ্যে পড়েছিল দেহ। প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূলের আক্রোশের শিকার, অভিযোগ বিজেপির (BJP)। প্রসঙ্গত,পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার ১৯ দিনের মধ্যেই রাজ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র কোচবিহারেই মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। ইতিমধ্যেই সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ক্যানিং ও ভাঙড়ের পর কোচবিহারে গিয়েছেন রাজ্যপাল। কোচবিহার থেকে একের পর এক হিংসার উদ্বেগজনক খবর আসছে। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহারে পৌঁছে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল।


'হিংসা আর বরদাস্ত করা হবে না'


রাজ্যপাল বলেছেন,'আমি আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। রাজভবনকে ভ্রাম্যমান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাজভবনের শান্তিকক্ষকেও ভ্রাম্যমান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মানুষ চাইলে রাস্তায় আমায় দাঁড় করিয়ে কথা বলতে পারবেন। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলায় এই ধরনের হিংসা আর বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার যথেষ্ট যোগ্য একজন আধিকারিক। কিন্তু সিস্টেমকেও যোগ্য হয়ে উঠতে হবে।' ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন সিপিএম-কংগ্রেস প্রার্থীরা। শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেওয়া, ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


অশান্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক তরজাও


সম্প্রতি, ৬ বার গুলি চলেছে কোচবিহারে। এই অবস্থায়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে, অশান্তির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রাজনৈতিক তরজাও। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে অমিত শাহ -র ডেপুটি বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের। সূত্রের দাবি, কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে জেড প্লাস ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে, জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পেতেন নিশীথ প্রামাণিক। শুধু, নিশীথ প্রামাণিক নন, জেলার ৫ বিজেপি বিধায়কেরও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে, তাঁদের সঙ্গে ৪ জন করে CISF জওয়ান থাকতেন। এখন থেকে ৫ জন করে CISF জওয়ান থাকবেন।