কোচবিহার: রাজ্যপালের (Governor) কোচবিহার সফর চলাকালীনই ফের অশান্ত দিনহাটার গীতালদহ (Gitaldaha, Dinhata Cooch Behar)। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে বেধড়ক মারধর, ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল নির্দল প্রার্থীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত তৃণমূল নেতা ও তাঁর সঙ্গীকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন রাজ্যপাল।
প্রসঙ্গত, ওকরাবাড়িতে কংগ্রেস প্রার্থী (Congress Candidate) জহিরুল মিয়ার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোমা ছোড়ায় একটি ঘরে আগুন ধরে যায় বলে অভিযোগ কংগ্রেস প্রার্থীর পরিবারের। স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকলের একটি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছিল। কংগ্রেস প্রার্থীর পরিবারের দাবি, বাড়িতে বসে বৈঠক করছিলেন দলীয় কর্মীরা। তখনই বাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়েছিল বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার ১৯ দিনের মধ্যেই রাজ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র কোচবিহারেই মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ক্যানিং ও ভাঙড়ের পর কোচবিহারে গেছেন রাজ্যপাল। কোচবিহার থেকে একের পর এক হিংসার উদ্বেগজনক খবর আসছে। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহারে পৌঁছে কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল বলেন,'আমি আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। রাজভবনকে ভ্রাম্যমান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রাজভবনের শান্তিকক্ষকেও ভ্রাম্যমান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মানুষ চাইলে রাস্তায় আমায় দাঁড় করিয়ে কথা বলতে পারবেন। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলায় এই ধরনের হিংসা আর বরদাস্ত করা হবে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার যথেষ্ট যোগ্য একজন আধিকারিক। কিন্তু সিস্টেমকেও যোগ্য হয়ে উঠতে হবে।' ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন সিপিএম-কংগ্রেস প্রার্থীরা। শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা দেওয়া, ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?