কোচবিহার: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মুখে দলবদলের পরই, দিনহাটায় (Dinhata) পুরনো মামলায় গ্রেফতার বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থী। দল টিকিট না দেওয়ায়, ১৫ জুন, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হয়েছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য তরণীকান্ত বর্মন। গতকাল তাঁকে গ্রেফতার করে কোচবিহার পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।


পুলিশের দাবি, ২০১৯ সালে খুনের চেষ্টার মামলায় এই গ্রেফতারি। গতকাল থানায় যান কোচবিহার উত্তরের বিধায়ক সুকুমার রায় ও তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতি রাভা রায়। পুলিশ ও সরকারি কর্মীদের কাজে লাগিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা, অভিযোগ দিলীপের। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ, পাল্টা দাবি উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর। 


প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটে (WB Assembly Election 2021) এই কোচবিহার জেলার শীতলকুচি একটা বড়সড় ইস্যু। চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের গুলিতে মৃত্যু ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল কোচবিহারের এই শীতলকুচি। আর এবার তেইশের পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক ১২ দিন আগে উত্তরবঙ্গের সেই কোচবিহার থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবং এবারেও তাঁর বক্তব্যে উঠে এল বিএসএফ ইস্যু।


সম্প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন, ' খবর আছে বর্ডারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাবে বিএসএফ।'মমতা অভয় দিয়ে বলেছিলেন, 'বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত স্বজনহারাদের পরিবারের পাশে থাকবে তৃণমূল। খবর আছে বর্ডারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাবে বিএসএফ। বিএসএফ ভয় দেখালে ভয় পাবেন না। বিএসএফ ভয় দেখালে আমাদের এসে জানান। কোচবিহারে বিএসএফ-এর গুলি করে মারা যেন অধিকারের মধ্যে পড়ে গেছে।'


প্রসঙ্গত, বারবারই প্রসঙ্গে উঠে এসেছে কোচবিহার। ২ মে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় খুন হন বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। গত ২৫ মে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে পা ভাঙা অবস্থায় বিজেপির বুথ সভাপতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খুনের অভিযোগ করে বিজেপি। যা মনে করিয়ে দেয়, ৩ বছর আগে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর ঘটনা। মাঝে কালিয়াগঞ্জে মৃত্যু হয়েছিল আরও এক তৃণমূল নেতার।


উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ও পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি নেতাদের মৃত্যুর ঘটনায় সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই  কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটায় যুবককে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। বিজেপির দাবি ছিল, তাঁদের দলের নেতাকে গুলি করে খুনের নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে। যদিও, তৃণমূলের তরফে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছিল। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই খুন, পাল্টা অভিযোগ উদয়ন গুহের।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ? 


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হঠাৎই কয়েকজন দুষ্কৃতী প্রশান্তর বাড়িতে ঢুকে পড়ে। বাড়ির লোকজন কেউ কিছু বুঝবার আগেই, আততায়ীরা বেডরুমে ঢুকে প্রশান্তকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। খুনের খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই দিনহাটা থানার (Dinhata Police Station) পুলিশ বাহিনী প্রশান্তর বাড়িতে পৌঁছয়। গুলিবিদ্ধ বিজেপি নেতাকে পাঁজাকোলা করে তুলে চাপানো হয় পুলিশের গাড়িতে। কিন্তু, হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি।