কলকাতা: আদালতে (Court) পরপর ধাক্কা খেয়ে ২২ কোম্পানি বদলাল ৮২২ কোম্পানিতে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি এদিন একুশের বিধানসভা ভোটের কথা মনে করিয়ে বলেন, 'নেড়া একবার বেলতলায় যায়।' এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর ইস্যুতে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বললেন, 'ভোটার পিছু একজন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠান, তারপরেও হারাব।'


এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট ২০২১ সালে করার পর, আপনারা তো দেখেছেন, সিপিএম কংগ্রেসের শূন্য পাওয়া এবং বিজেপির হেরে যাওয়া, তারপরেও শখ হয় এদের ! নেড়া একবার বেলতলায় যায়। এরা তো বারবার বেলতলায় যায়। সরকার আর কমিশনের কিছু কিছু সাংবিধানিক কমপালসন আছে। সারা দেশে লোকসভা-বিধানসভা কেন্দ্রীয় বাহিনীতে, পুরসভাগুলি রাজ্যের বাহিনীতে। তার অন্যথা কেন হবে পশ্চিমবঙ্গে ? তো তাঁরা আপত্তি করেছে, কাদের কমপালসন ? কিন্তু দল হিসাবে সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস আমরা পরিষ্কার বলছি। মাথা পিছু, ভোটার পিছু একজন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠান, তারপরেও বান্ডিল করে হারাব। '


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


প্রসঙ্গত, কোর্টে পরপর ধাক্কা খেয়ে ২২ কোম্পানি বদলাল ৮০০ কোম্পানিতে। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন । ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি কমিশনের । হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট। গত কয়েকদিন ধরে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিরামহীন আইনি লড়াইয়ের সাক্ষী হয়েছে বাংলা। তবে, কোথাও কোনও সুরাহা পায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার। এরপর গতকালই বাহিনী নিয়ে কমিশনকে কার্যত গাইডলাইন বেঁধে দেয় হাইকোর্ট। বাতিল করে দিল নামমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কমিশনের 'চাল'।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি দেওয়া সম্ভব নয় কেন্দ্রের। কোনও সরকারই একসঙ্গে ৮০০ কোম্পানি দিতে পারবে না। গতবারে ৫ দফায় ভোট হয়েছিল, এবারও একাধিক দফায় ভোট হোক।' পাশাপাশি শুভেন্দু আরও বলেন,' তৃতীয়ত ল্য অ্যান্ড অর্ডারের সিচ্যুয়েশন, ২০১৩ সালে যা ছিল, এখন তা খারাপ পরিস্থিতি। ২০১৩ থেকেও ভাল অ্যারেঞ্জমেন্ট করার নির্দেশ ছিল।' বিষয় রয়েছে আরও একাধিক। শুভেন্দু আলোকপাত করে আরও বলেন,' ২০১৩ সালে পরে তিন দফা ছিল, পরে প্যারা মিলিটারি দিতে না পারার জন্য, ওটাকে পাঁচ দফায় করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবারে একদফাতে..কোম্পানির সংখ্যাটা ফ্যাক্টর নয়, প্রধানবিচারপতির বেঞ্চ চাইছে, যেটা সুপ্রিম কোর্টও সিলমোহর দিয়েছে, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ভোট।'