Layoffs: জার্মানির মিডিয়া জায়ান্ট Axel Springer তাদের কর্মীদের ২০ শতাংশ ছাঁটাই করতে চলেছে। সম্প্রতি এই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, Axel Springer তাদের নিউজরুম জব (Newsroom Jobs)- এর ২০ শতাংশ ছাঁটাই করতে চলেছে। এর পাশাপাশি আবার এও শোনা গিয়েছে, কিছু কর্মীর পরিবর্তে আনা হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ এআই টেকনোলজি। জানা গিয়েছে, জার্মানির Axel Springer মিডিয়া জায়ান্টের সিইও Mathias Dopfner যিনি আবার টেসলা কর্ণধার এলন মাস্কের বন্ধু একটি 'ডিজিটাল অনলি' পর্যায়ের সূচনা করতে চাইছেন। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।


Axel Springer সংস্থা তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে এডিটর, ফটো এডিটর, প্রুফ রিডার এবং অন্যান্য যেসমস্ত কর্মী প্রিন্ট প্রোডাকশনের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা এখন যা কাজ করছেন তার সঙ্গে আর যুক্ত থাকবেন না। ইউরোপে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া খবরের কাগজ Bild- এর উপর এই কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাপক ভাবে প্রভাব পড়বে। Axel Springer সংস্থা একাধিক মাল্টিমিডিয়া নিউজ ব্র্যান্ডের মালিকানা নিয়ে রেখেছে। এই তালিকায় রয়েছে জার্মান নিউজ পাবলিকেশন Bild এবং Welt। এছাড়াও রয়েছে মার্কিন নিউজ সাইট Politico ও আরও অনেক কিছু। শোনা যাচ্ছে, Bild- এর ক্ষেত্রে ২০০ থেকে ১০০০ কর্মী চাকরি খোয়াতে পারেন। Bild- এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই কর্মী ছাঁটাইয়ের সঙ্গে এআই- এর কোনও যোগাযোগ নেই। তবে নিঃসন্দেহে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) একটি গুরুত্বপূর্ণ টুল। কাজ করার ক্ষেত্রে সময় কমিয়ে দেয়। এডিটর এবং রিপোর্টারদের ক্ষেত্রেও এই টুল খুবই কার্যকরী। 


ভারতের অন্যতম বড় আইটি সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসে (Tata Consultancy Services) আলোড়ন। সংস্থার কর্মীরা কার্যত গণ ইস্তফা দিচ্ছেন ! আর যে তালিকায় বেশিরভাগই মহিলা। টিসিএস সম্প্রতি তাদের কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work From Home) বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর রিমোট কাজ করার সুবিধা চলে যাওয়ার জেরেই সেই সংস্থায় কার্যত গণ ইস্তফা দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। টিসিএস কর্তৃপক্ষ কার্যত মেনেও নিয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বন্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই একাধিক মহিলা কর্মী ইস্তফা দিচ্ছেন। টিসিএসে প্রায় ৬ লক্ষ কর্মী কাজ করেন। যার মধ্যে ৩৫ শতাংশই মহিলা। গত বছর থেকেই একের পর এক আইটি সংস্থাতে শুরু হয়েছে ব্যাপক ছাঁটাই।তার মাঝে অবশ্য বেশিরভাগ কর্মীই ধরে রেখেছিল টিসিএস (TCS)। কিন্তু এবার সংস্থাই ছাড়ছেন অনেকে। 


আরও পড়ুন- কর্মসূত্রে প্রচুর বাইরে যেতে হয়? নজরে থাকুক এই বিষয়গুলি