পূর্ব বর্ধমান: ভোটের সকাল থেকেই জেলায় জেলায় অভিযোগের পাহাড়। যে ভোট দেওয়া ঘিরে এত আয়োজন, সেই পঞ্চায়েত ভোটেই ছাপ্পা ভোটের ভুরি ভুরি অভিযোগ। এবার নয়া সংযোজন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে (East Burdwan Jamalpur)। সেখানে প্রিসাইডিং অফিসারের সামনেই ছাপ্পা ভোট (Rigging)। অসহায় প্রিসাইডিং অফিসার-সহ ভোটকর্মীরা। পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ। 


প্রসঙ্গত, শুধু পূর্ব বর্ধমানই নয়, দুই ২৪ পরগনা, মালদা, কোচবিহার-সহ একাধিক জেলায় আজ উঠে এসেছে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। ভোট শুরু হতেই বুথ দখলের চেষ্টা অভিযোগ ওঠে। দিনহাটায় তছনছ বুথ। নথিতে আগুন। জ্যাংড়ায় বুথের মধ্যেই মারামারি। জঙ্গল থেকে ব্যালট বাক্স উদ্ধার হয়। বিরোধীদের মেরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভোটের শুরুতেই বুথ দখল ব্যারাকপুরে বাহিনীর সামনেই অবাধে ছাপ্পাভোট চলার অভিযোগ ওঠে। বোমাবাজি-গুলি। নির্দল প্রার্থীর ক্যাম্প ভাঙচুর।  আমডাঙায় টেবিলে বোমা রেখে ভোট লুঠ। বন্দুক উঁচিয়ে তাড়া পুলিশের।  


অপরদিকে, ভোটের সকালেও উত্তপ্ত ভাঙড়। তৃণমূল-আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর আসে।  ডায়মন্ড হারবারে ভোটকর্মীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভোট লুঠের অভিযোগ ওঠে এদিন। অভিযুক্ত তৃণমূল। প্রতিবাদে ব্যালট বাক্স ফেলা হয় পুকুরে বলে অভিযোগ। অসহায় প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ। কোচবিহারেও এদিন চলে ভোট-সন্ত্রাস। খুন, বোমাবাজি, গুলির অভিযোগ। প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। বুথে তাণ্ডব, মাঠে ব্যালট বাক্স। এমনকি প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। ভোট লুঠের অভিযোগে আগুন।


অপরদিকে, ভোটের সকালে মালদার মানিকচকে ভোটের বলি এক। গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলা গ্রামে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে, বোমা মেরে খুন। নিহত শেখ মালেক তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির আত্মীয়। ভোট শুরুর আগে সকাল থেকে তৃণমূল-কংগ্রেস সংঘর্ষে বোমাবাজি শুরু হয়। গুলিও চলে বলে অভিযোগ। উভয়পক্ষের ৮ জন জখম হন। রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বোমা। ভোটকেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন ভোটাররা। 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


রতুয়ায় বুথের বাইরে ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। পঞ্চায়েতের ২২টি বুথ দখলের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হাতে ব্যাগ ভর্তি বোমা নিয়ে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। একের পর এক বিস্ফোরণের আওয়াজে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবদুর রহিম বক্সীর মদতেই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে বাহারাল বাস স্ট্যান্ডে পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী ও সমর্থকরা।