উত্তর ২৪ পরগনা: সম্প্রতি ভোটপ্রচারে গিয়ে কোচবিহার থেকে প্রচারের শুরুর দিতেই কর্মসংস্থান নিয়ে বড় বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যেই কর্মসংস্থান (Employment) হবে, বাইরে যাওয়ার দরকার নেই।' আর এদিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থেকে শুভেন্দু বললেন, 'বিজেপি ক্ষমতায় এলে মেধার ভিত্তিতে চাকরি।'
এদিন বাগদার সভা থেকে শাসকদলকে তীব্র নিশানা করে বলেন, 'চোরমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে হবে। বিজেপি কোনও টাকা আটকায়নি, চুরি আটকেছে। বিজেপির পঞ্চায়েত নয়, মানুষের পঞ্চায়েত হবে। আবাস যোজনা থেকে ১০০ দিনের কাজ, সর্বত্র চুরি হয়েছে। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে একবছরে শূন্যপদ পূরণ। বিজেপি ক্ষমতায় এলে মেধার ভিত্তিতে চাকরি। এ রাজ্যে কাজ না পেয়ে ভিন রাজ্যে যেতে হচ্ছে। রাজ্যে কতজন বেকার ভাতা পান? বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলের সেটিং।'
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচন জয়ের আগে গোটা বাংলাজুড়েই একটা বুকধুকপুক শোনা গিয়েছিল। একের পর এক বটবৃক্ষদের তৃণমূল ত্যাগে ভরাডুবির ভবিষ্যতবাণীও করেছিলেন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নের্তৃত্ব। যদিও ভোটের ফলাফল তার ধারেকাছ দিয়েও ঘেষেনি। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল (TMC)। তৃতীয়বার সরকার গঠন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর সেসময় চলছিল কোভিড পরিস্থিতি (Covid Situation)। তাই জয়ের আনন্দে না মেতে সেসময় মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছিলেন, এবার তাঁর অন্যতম লক্ষ হবে 'কর্মসংস্থান।'
বলাইবাহুল্য এরপর পরই মানুষ দেখেছিল বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন (BGBS)। যেখানে কর্মসংস্থান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অনেকেই। আর এবার দেখতে দেখতে তেইশ সাল। মাঝের কলকাতা পুরভোট, উপনির্বাচন-অন্যান্য সব ভোটেই বড়সড় জয় এসেছে শাসক শিবিরে। ব্যতিক্রম সাগরদিঘি। যদিও পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগে কোচবিহারের মাটিতে ফের মাস্টারস্ট্রোক মমতার। নির্বাচন প্রচারের শুরুর দিনেই তিনি বলেছিলেন, 'উত্তরবঙ্গে তৈরি হবে অর্থনৈতিক করিডর। রাজ্যেই কর্মসংস্থান (Employment) হবে, বাইরে যাওয়ার দরকার নেই।'
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
তবে মাঝখানে কেটে গিয়েছে সুর। নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক মামলা বঙ্গের কর্মসংস্থানে প্রভাব ফেলেছে। আর শাসকদলের এই ইস্যুকেই অনেকটা ঢাল বানিয়ে ময়দানে বিরোধী শিবির। যদিও পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েননি এই বিষয়ে মমতাও। মমতার অধিকাংশে বক্তব্যে উঠে এসে তাই বামদের সময় ঠিক কী কী কাজ হয়েছে, তার পরিসংখ্যান কোথায় ? তা জানতে চেয়ে একাধিকবার নিশানা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু এত গেল পূর্বের বাম সরকার। তবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ঘায়েল করতে যোগী রাজ্যকে আঁতস কাচের তলায় ফেলতেও পিছপা হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল। তাই কর্মসংস্থান তো বটেই, পাশাপাশি জল প্রকল্প, স্বাস্থ্য, কৃষি-সহ একধিক অন্য ইস্যু আগামী পঞ্চায়েতের পাখির চোখ দুতরফেই।