কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে জনতার রায় নিতে ভোটের ময়দানে দাঁড়িয়েছিলেন নির্দল প্রার্থী তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার স্ত্রী। তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্দল হিসেবে লড়ছেন জীবন-জায়া টগরী সাহা, এমনটাই ছিল খবর। যদিও পরে আদালতে পেশের সময় জীবনকৃষ্ণ সাহা জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে এদিন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ঢোকার আগে জীবনকৃষ্ণ জানিয়ে দিলেন জয় পাবে তৃণমূলই। 


এদিন আদালতে ঢোকার আগে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে প্রশ্নের জবাবে জীবনকৃষ্ণ বলেন, আমার এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে, তাই তৃণমূল জিতবে। এমনটাই দাবি তাঁর। 


জীবন-প্রসঙ্গ


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে জীবনকৃষ্ণর। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির সময় বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে লুকিয়ে রাখা নথি ভর্তি ২টি ব্যাগ উদ্ধার করে সিবিআই। সিবিআই-এর দাবি, তল্লাশির সময় দুটি মোবাইল ফোন বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক। প্রায় তিনদিন ধরে পুকুরের জল ছেঁচে তা উদ্ধার করা হয়। ভোটের ময়দানে সেই জীবনকৃষ্ণের স্ত্রীর লড়াই নির্দল হিসেবে।


এর আগে যদিও জেলবন্দি জীবনকৃষ্ণকে আদালতে তোলার সময় প্রশ্ন করলেও পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে মঙ্গলবার তাঁর বদল ঘটেছে। এদিন জেলবন্দি জীবনের সপাট জবাব, তাঁর এলাকায় যেহেতু ভাল কাজ করেছে তৃণমূল, তাই জয় হবে ঘাসফুল শিবিরেরই।   


আরও পড়ুন, বিশ্বাসের সুযোগ! কথায় ভুলিয়ে, চোখে স্প্রে করে সাধু বেশে ছিনতাই নিউ আলিপুরে


এদিকে, ৪ জুলাই পর্যন্ত ফের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ককে। এর আগে পঞ্চায়েতে নির্দল হিসেবে প্রার্থী হয়েও স্ত্রীর মনোনয়ন প্রত্যাহার হয়। কিছু সমস্যা ছিল, দাবি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত জীবনকৃষ্ণের


জীবন-কীর্তি


পুকুরে মোবাইল ফোন ফেলেও কাজ হল না। বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দুটি মোবাইল ফোন থেকে একশো শতাংশ তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করল সিবিআই।কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, SSC মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পরেই জীবনকৃষ্ণ তাঁর দুটি ফোন থেকে প্রচুর কথোপকথন ও ছবি ডিলিট করে দেন। কিন্তু ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে মুছে দেওয়া ডেটার একশো শতাংশই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের দাবি, ডেটা রিট্রিভ করে জীবনকৃষ্ণর কাছ থেকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কোথায় কোথায় পৌঁছেছে, সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ মিলেছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান, এই সমস্ত তথ্য লুকোতেই বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন ফোন দুটি পুকুরে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ।