কলকাতা: রাজ্যকে কড়া বার্তা দিতেই এবার রাজ্যপালের মন্তব্যের পাল্টা নিশানা কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। মূলত, শিলিগুড়িতে বিজেপি (BJP)-সহ পাহাড়ের দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের ( Governor CV Ananda Bose) বলেন, 'গণতন্ত্রের পাহারাদারের হাতে যেন মৃত্যুঘণ্টা না বাজে।' আর এরপরেই পাল্টা তোপ দাগেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, 'বিজেপির দলদাসে পরিণত হয়েছেন রাজ্যপাল।'


 প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যপাল বলেন,'গণতন্ত্রের পাহারাদারের হাতে যেন মৃত্যুঘণ্টা না বাজে। খুনের রাজনীতি, ভয়ের রাজনীতি, হুমকির রাজনীতি দূর হওয়া দরকার। এটা ভারতের সংবিধান, গণতন্ত্রের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। যা ঘটছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। হাইকোর্টের নির্দেশেও বিষয়গুলি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রত্যেক নাগরিক যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন। যেখানেই হিংসার ঘটনা ঘটবে, আমি সেখানেই আমি যাব। আমি গ্রাউন্ড জিরো গভর্নর হতে চাই।' আর এই মন্তব্যের পরেই আক্রমণ শানিয়ে এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'রাজ্যপাল সম্পূর্ণভাবে রাজধর্ম পালন থেকে বিচ্যুত হয়েছেন। তিনি বিজেপির দলদাসে পরিণত হয়েছেন। নির্বাচনের মুখে তিনি, বিরোধীদের হাত কীভাবে শক্ত করা যায়, অত্যন্ত গভীর পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে, সেই ধরণের একটা বিকৃত আচরণ করছেন।'


এদিকে, এত শান্তিপূর্ণ মনোনয়ন আগে কখনও হয়নি। বাংলার পুলিশ অফিসাররা যে কোনও পুলিশের থেকে গুরুত্বপূর্ণ। যখন, মনোনয়ন পর্বে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনার ঝড়, তখন পুলিশকে এভাবেই দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছেন, রাজ্যপাল থেকে আদালত এবং বিরোধীরা। এর আগে রাজ্যপাল বলেছিলেন, সার্বিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব কার? এটা তো রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। পুলিশ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট, সবাই এখন তাঁর নিয়ন্ত্রণে। রক্তপাত হয়েছে। মানুষের যে রক্ত ঝরেছে, সেই প্রতিটি রক্তবিন্দুর জন্য দায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশন।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ? 


পঞ্চায়েত ভোটের আগে পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানাতে গেলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জিএনএলএফ, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, হামরো পার্টির প্রতিনিধিরা। বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের গ্রামে-গঞ্জে অরাজকতা চলছে। আইন শৃঙ্খলা কার্যত ভেঙে পড়েছে। তাই রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করছে বিজেপি ও তার সহযোগী দলগুলি। সেই কারণেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে এই সাক্ষাৎ বলে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত জানিয়েছেন।