কোচবিহার: কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) নিয়ে পঞ্চায়েত ভোট, বিএসএফকে (BSF) নিশানা মমতার। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে (WB Assembly Election 2021) কোচবিহারের শীতলকুচি একটা বড়সড় ইস্যু। চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের গুলিতে মৃত্যু ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল কোচবিহারের এই শীতলকুচি। আর এবার তেইশের পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক ১২ দিন আগে উত্তরবঙ্গের সেই কোচবিহার থেকেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবং এবারেও তাঁর বক্তব্যে উঠে এল বিএসএফ ইস্যু। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ' খবর আছে বর্ডারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাবে বিএসএফ।'
এদিন মমতা অভয় দিয়ে বলেন, 'বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত স্বজনহারাদের পরিবারের পাশে থাকবে তৃণমূল। খবর আছে বর্ডারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাবে বিএসএফ। বিএসএফ ভয় দেখালে ভয় পাবেন না। বিএসএফ ভয় দেখালে আমাদের এসে জানান। কোচবিহারে বিএসএফ-এর গুলি করে মারা যেন অধিকারের মধ্যে পড়ে গেছে।'
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিন ১০ এপ্রিল বিধানসভা নির্বাচনে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের দিন শীতলকুচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল পাঁচজনের। প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েই প্রাণ গিয়েছিল সেবার পাঠানটুলির বাসিন্দা আনন্দ বর্মনের। শুধু আনন্দ বর্মনই নন, জোড়পাটকি গ্রামে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু হয়েছিল মণিরুজ্জামান মিঞা, হামিউল হক, হামিদুল মিঞা ও নুর আলম মিঞাদের। এই ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। আর এবার ফের পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই ইস্যুটাই সামনে নিয়ে এলেন মমতা।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
মূলত, পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও ভোটের ক্ষেত্রেই নিরাপত্তায় কে থাকবে এ এক বরাবরের বড় প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলে প্রতিবারই। কলকাতা পুরভোটের ক্ষেত্রেও সেই একই দৃশ্য উঠে এসেছিল। সেবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার পক্ষে ছিল গেরুয়া শিবির। আদালতের দ্বারস্থ হলেও শেষ অবধি রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার আরও একধাপ পেরিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে শাসকদলও। তবে গুড়ে বালি একটা জায়গাতেই। তা হল বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রাজীব সিনহা। এখানে যত মাথা ব্যাথা গেরুয়া শিবিরের। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হলেও অস্বস্তি এই অন্য জায়গাতেই। যদিও কংগ্রেস, বামেদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা এনিয়ে তত্ত্ব রয়েছে।