কলকাতা: নৌশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddique) আবেদন খারিজ। মূলত 'পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) না দেওয়া গেলে বাড়ানো হোক ভোটের দফা', পঞ্চায়েত ভোটের দফা বাড়ানোর আর্জিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক। কিন্তু এবার হাইকোর্টে ধাক্কা খেল আইএসএফের বিধায়কের আবেদন।
কেন দফা নিয়ে আবেদন করেছেন ? প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।'অবমাননা মামলার মধ্যেই সবটা আছে, যা যা আবেদন করেছেন সেই সম্পর্কে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে', জানালেন প্রধান বিচারপতি। অন্যদিকে আইএসএফ-র মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিন্হার রায় খারিজ করল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। মামালাকারী আইএসএফ-র ৮২ জন প্রার্থীর মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট।'হঠাৎ করেই তাঁদের নাম কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে যায়', এমনই অভিযোগ ছিল আইএসএফ-র। ৮২ জনের মনোনয়ন পত্র ফের খতিয়ে দেখবে কমিশন, নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা।'সব ঠিক থাকলে এই ৮২ জনকে ভোটে লড়তে দিতে হবে', নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে রাজ্য, সেই মামলায় নির্দেশ বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের।
শুভেন্দু অধিকারীর পর সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত ভোটের দফা বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিও। কলকাতা হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী অপ্রতুল থাকলে ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো দফা বাড়ানো হোক। কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী বলেন, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মডেল যদি অনুসরণ করা হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার আদালতের নির্দেশ অনুসারে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে পারবে।
এই অবস্থায়,এবার কি পঞ্চায়েত ভোটের দফা বাড়তে পারে? ১ দফার পরিবর্তে কি একাধিক দফায় হতে পারে পঞ্চায়েত ভোট? পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট কি বদলাতে পারে? এই জল্পনা শুরু হয়েছে, তখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন নৌশাদ সিদ্দিকি। হাইকোর্টে ভাঙড়ের ISF বিধায়ক আবেদন বলেছিলেন যে,পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া না গেলে, ভোটের দফা বৃদ্ধি করা হোক।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Security) নিরাপত্তা পেলেন ভাঙড়ের (Bhangor)বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (ISF MLA Naushad Siddiqui)। তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। প্রসঙ্গত,পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে ভয়ঙ্কর অশান্ত হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় বিধিনিষেধকে হেলায় উড়িয়ে বাঁশ, লাঠি, গাছের ডাল হাতে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হাজির হয়ে যান তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। রুমালে মুখ ঢেকে ডান্ডা হাতে ISF-কে ঠান্ডা করতে রাস্তায় নামেন তাঁরা, এমনই অভিযোগ। মুখে মুখে ঘুরছে অ্যাকশনের কথা। প্রকাশ্যেই ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারিও শোনা যায়, অভিযোগ এমনও।