সমীরণ পাল এবং ঝিলম করঞ্জাই, উত্তর ২৪ পরগনা:
'শিক কাবাব' মন্তব্যের পর এবার, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ফের হুঁশিয়ারির সুর কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের গলায়। 'বহিরাগত ঢুকলে বেরনোর রাস্তাই খুঁজে পাবে না', হুঁশিয়ারি মদন মিত্রের।


'আমাদের ছেলেরা ওভারপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত'


কামারহাটি তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেছেন, 'আমার বুকে পা দিয়ে গণতন্ত্র লুঠ করবে, এসে ব্যালট পেপার লুঠ করবে, আমি কি বসে থাকব নাকি? অ্যাকচুয়ালি আমাদের ছেলেরা ওভারপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।' পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বের পঞ্চম দিনেও ,দিকে দিকে বিরোধীদেরকে বাধার ছবি সামনে এসেছে। সব ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত শাসক দল। এমনকি, ভাঙড়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে নবান্ন পর্যন্ত ছুটে যেতে হয়েছে আইএসএফের একমাত্র বিধায়ককে। আর সেই শাসক নেতা, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বক্তব্যেই উঠে আসছে হুঁশিয়ারির সুরও।


'সব দুষ্টুগুলো ঘরে ঢুকে মায়ের আঁচলের তলায় লুকিয়ে'


মদন মিত্র আরও বলেছেন, এটা কিন্তু বিধানসভা বা লোকসভা নয়। বহিরাগত ঢুকিয়ে দেবেন। বেরনোর রাস্তা খুঁজে পাবে না। কারণ সব কিন্তু জলাজঙ্গলে ঘেরা পঞ্চায়েত।এই ভোটটা হবে শিষ্টের পালন। দুষ্টের দমন কোথা থেকে হবে? দুষ্টু তো নেই কেউ। সব দুষ্টুগুলো ঘরে ঢুকে মায়ের আঁচলের তলায় লুকিয়ে পড়েছে।  


'ওর কথা আর বলবেন না..', কী বললেন সুকান্ত ?


 অপরদিকে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'ওর কথা আর বলবেন না। হাসপাতালে ভর্তি করতে পারে না আবার হুঁশিয়ারি দেয়।' এদিকে, দিনকয়েক আগেই এই মদন মিত্রের গলাতেই শোনা গিয়েSছিল রেজাল্ট আউটে শিক কাবাব প্রসঙ্গ। তিনি বলেছিলেন, 'পঞ্চায়েত ভোটের দিন শিক কাবাব খাওয়ালে ভোটে প্রভাব পড়বে। তাই ফলাফলের দিন গরম তুলতুলে শিক কাবাব খাওয়াবো।'সব মিলিয়ে ফের একবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে সেই মদন মিত্র। 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchyat Poll 2023) দিন এবারে শিক কাবাব তৈরি করবে আমাদের ছেলেরা। কাবাব আর শিক দুটোই কাজে লাগবে। বিরোধীদের জন্যও থাকছে শিক কাবাব। কাঁচা মাংস ঝলসে মধু, ঘি, মাখন দিয়ে লেবু টিপে বিট নুন লঙ্কা দিয়ে শিক কাবাব তৈরি হবে। কামারহাটিতে খাদ্য উৎসবে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, এক-দু’ ঘণ্টার মধ্যে ভোট শেষ হয়ে যাবে। ওদের গোলকিপার নেই, ৬-৭ গোল এমনিই হয়ে যাবে, বিরোধীদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করেছিলেন সেবার মদন মিত্র।