পুরুলিয়া: পুরুলিয়ায় তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় (TMC Leader Murder case) বিরোধীদের নাম না করেই তীব্র আক্রমণ তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের (Santanu Sen)। শান্তনু সেন বলেন, 'আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে, তৃণমূল কংগ্রেস অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের ডাক দিয়ে, সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে। এদিকে বিরোধীরা হালে পানি না পেয়ে, প্রার্থী দিতে না পেরে, তাঁদের সঙ্গে ভোটার নেই, ক্যাডার নেই, কোনও সমর্থন নেই। তাঁরা বাইরে থেকে গুন্ডা ভাড়া করে নিয়ে এসে, বেআইনি অস্ত্র মজুত করে নিয়ে এসে, তারা তৃণমূল কর্মীদের বেছে বেছে কীভাবে খুন করছে, সেটা আরও একবার দেখতে পেলেন', দাবি তৃণমূল নেতার। 


উল্লেখ্য, আদ্রায় পার্টি অফিসেই তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আহত দেহরক্ষী। নিহত তৃণমূলের টাউন সভাপতির নাম ধনঞ্জয় চৌবে। এদিকে মনোনয়ন শুরু হওয়ার ১৪দিনেই রাজ্যে ৯জন খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।।জনবহুল বাজার এলাকাতেই ৩ আততায়ীর হামলার ঘটনা ঘটেছে। অন্তত ৭ রাউন্ড গুলি চালিয়ে আততায়ীরা উধাও হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।বাইকে এসে পার্টি অফিসের সামনেই তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।


রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস বলেছিলেন, মানুষের যে রক্ত ঝরেছে, সেই প্রতিটি রক্তবিন্দুর জন্য দায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশন! রাজ্য়পাল (Governor) যেদিন প্রতিটি রক্তবিন্দু ঝরার জন্য় রাজ্য় নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করলেন, সেদিনই রাজ্য়ে ঝরে গেল আরও একটি প্রাণ।               


মুর্শিদাবাদ থেকে ভাঙড়, কোচবিহার থেকে চোপড়ার পর এবার পুরুলিয়া! পঞ্চায়েতের মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ১৪ দিনে ৯ জনের মৃত্য়ু হল। পয়েন্ট ব্ল্য়াঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে হত্য়া করা হল তৃণমূলের টাউন সভাপতিকে। বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ ভিড়ে ঠাসা আদ্রা বাজারে তৃণমূলের কার্যালয়ের বাইরে বসে ছিলেন দলের টাউন সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে। সঙ্গে ছিলেন দেহরক্ষী শেখর দাস ও গাড়ির চালক। 










তাঁর ৫টি গুলি লেগেছিল। তাঁর দেহরক্ষীর শরীর ফুঁড়ে যায় ১টি গুলি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বন্দুক-বারুদের দাপট, দুষকৃতীদের দাপাদাপি, নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের খুন গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূলের টাউন সভাপতি মনোনয়নের শুরু থেকে এই নিয়ে মোট ৯ জনের প্রাণ গেল।