কলকাতা: পঞ্চায়েতে (Panchayat Election 2023) মনোনয়নের প্রথম দিনই বিরোধীশূন্য করার হুঁশিয়ারি দেন মদন মিত্র(TMC MLA Madan Mitra)। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'ভয় পাচ্ছি, মানুষ না ১০০ শতাংশ করে দেয়। ১০০ শতাংশ করে দিলে তো ভোটই বাতিল হয়ে যাবে'। আর এবার মদন মিত্রের মন্তব্যের পাল্টা নিশানা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। এদিন সুকান্ত বলেন, 'সন্ধেবেলায় বললে সিরিয়াসলি নেবেন না।' কিন্তু কেন ? কারণ বোঝালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেন, 'সন্ধেবেলায় বললে সিরিয়াসলি নেবেন না। উনি ওই সময় ওষুধ খেয়ে থাকেন।' তৃণমূলকে 'নিকৃষ্ট' বলেও আক্রমণ সুকান্তর। প্রসঙ্গত,এদিন মদন আরও বলেন, 'অশান্তি টুকটাক না হলে হয়।সিপিএম আমলেও বোমা ছিল, আমাদের আমলেও বোমা আছে।' পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর দিকে দিকে হইচই। যদিও কামারহাটির বিধায়ক মনে করেন, ' গেম ইজ ওভার, আমাদের কোনও কাজ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামবেন বলে মনে হয় না, অভিষেকেরও নামার দরকার নেই। তবে, এই খেলায় আনন্দ নেই, মনমরা হয়ে যাচ্ছি, মাঠে তো প্লেয়ারই নেই। আমি তো আশঙ্কা করছি ১০০ শতাংশ ভোট না হয়ে যায়।'
এদিন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মানুষের কাছে আর্জি জানান, 'একটু দেখে-শুনে ভোট দিন।' কেন? স্বভাবসুলভ মেজাজে মদনের ব্যাখ্যা, 'যদি সব বুথে ৯৮-৯৯ শতাংশ ভোট পড়ে যায়, তখন ওরা আবার প্রশ্ন করবে, কী করে হল?' কিন্তু একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ভোটাররা আর কোনও বিকল্পই তো পাবেন না। ব্যালট পেপারে কারও নাম-ই থাকবে না। হঠাৎ এমন কথা কেন বলছেন তৃণমূল বিধায়ক? বিধায়কের কথায়, 'মনোনয়ন জমা দিতে ভয় পাচ্ছেন। আমাদের ছেলেদের অনুরোধ করেছেন, ভাই, সঙ্গে চল না।' আজ যে অশান্তি হয়েছে সেই নিয়ে কামারহাটির বিধায়কের উত্তর, 'এত গরম, টুকটাক অশান্তি হবে না হয়?' এর পরই সংযোজন, 'আমাদের গেম ওভার, আমরা সব বেকার হয়ে গেলাম, আমাদের কোনও কাজ নেই।' প্রচ্ছন্নভাবে কী বার্তা দিতে চাইলেন তিনি? মদন-বার্তার পর তীব্র হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
গত মাসে এসএসকেএমে রোগী ভর্তি করাতে গিয়ে তীব্র বিতর্কে জড়ান তিনি। সিপিএম আমলের প্রসঙ্গ টেনে অস্বস্তি বাড়ান দলের। মদন মিত্রর বিরুদ্ধে মামলাও করেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। সেই নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া ছিল, 'সোনাপাচার, গরুপাচার বা কয়লাপাচারে কেস খাইনি। রোগীর চিকিৎসার জন্য কেস খেয়েছি। যিনি ভাল মনে করেছেন, কেস করেছেন। ক্ষমতা আছেন তাই করেছেন। ছাত্র পরিষদ করার সময় সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের আমলে কেস খেয়েছি, সিপিএম-এর আমলে কেস খেয়েছি, তৃণমূলের সময়ও কেস খেলাম। কোনও গুপ্ত জায়গায় হানা দিয়ে কিছু হবে না। বুক ফুলিয়ে কামারহাটিতে ঢুকব।'