কলকাতা: মনোনয়নের (Nomination) শেষ দিনেও রক্তাক্ত বাংলা। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি অব্যহত ভাঙড়ে। যদিও ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার দায় আইএসএফকেই দায়ি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এমনই একদিনে শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করলেন ট্যুইটে শুভেন্দু অধিকারী। নিয়ে গেলেন স্মৃতির শহরে। প্রসঙ্গ সেই জাতীয় দলের তকমা যাওয়ার ইস্যু। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে কংগ্রেসের জয়ের দিন 'তৃণমূলকে গ্রামীণ দল করে দেব',  হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এবার আরও একবার স্ক্য়ানারে শাসকদলকে বসিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে অবস্থান বোঝালেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvenu Adhikari)।


মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন দলের কী চিহ্ন, সেই প্রচ্ছদ তুলে ধরে, এদিন তৃণমূলকে তুলোধনা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই প্রচ্ছদের উপরে দিকে স্থান পেয়েছে জাতীয় দলগুলি। তার ঠিক নিচে রাজ্যের শাসক দল। তিনি এদিন বলেছেন, 'ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে গোয়া, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে টক্কর দিতে গিয়ে সর্ব ভারতীয় তোলমূল দল শিং ভাঙিয়ে..দলে নাম লেখাতে বাধ্য হয়েছে। অর্থাৎ সর্ব ভারতীয় তকমা চলে গিয়েছে।' এরপর শুভেন্দু আরও বলেন, 'এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে, তোলামূল দলীয় প্রতীক সংরক্ষণ করতে পেরেছে রাজ্য দল হিসেবে।' 






এরপরেই শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'আমি কথা দিচ্ছি পশ্চিমবঙ্গেও, ভারতীয় জনতা পার্টি এই দুর্নীতিবাজ দলের বিরুদ্ধে, গণতান্ত্রিকভাবে এমন প্রতিরোধ গড়ে তুলবে যে এদের আগামীতে এদের প্রার্থীদের, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়, নারকেল গাছ, কলা গাছ, মই, রেডিও , আলমারি, ইত্যাদি প্রতীক চিহ্ন বেছে নিতে হবে। যত দিন না, এমন হচ্ছে, আমার লড়াই চলবে।' 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে ঐতিহাসিক জয় আসার পর শাসকদলকে নিশানা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। 'তৃণমূল কংগ্রেস এখন আঞ্চলিক দল, গ্রামীণ করে দেব', কর্ণাটকে ফলঘোষণার মধ্যেই মন্তব্য করেছিলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, 'এই দিদি, এতো চেষ্টা করছেন, রাহুলকে দিয়ে কিছু হবে না, কংগ্রেসকে দিয়ে কিছু হবে না, দিদিকে দিয়েই হবে। দিয়ে দিয়ে হবে করতে করতে , আগে জাতীয়দল ছিল, এখন আঞ্চলিক দল হয়েছে। এবার কংগ্রেসকে দিয়ে হবে করতে করতে, আঞ্চলিক দলকে গ্রামীণ দল করে দেব, কোনও চিন্তা নেই' বলে অধীরের নয়া সংযোজন, বাস্পীভূত হয়ে যাবে তৃণমূল।'