মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান: দোরগড়ায় পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023)। আর তার আগে অব্যহত অশান্তি। মূলত পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকে মনোনয়ন পর্ব চলাকালীন সর্বোচ্চ হিংসার (Violence) ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের জেলায় জেলায়। আর এবার প্রচারের ইস্যুতে দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে বিজেপি- তৃণমূলের মধ্যে বচসা, হাতাহাতি (BJP TMC Clash) পর্যন্ত গড়াল। বিজেপির মন্ডল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের জামুরিয়া দু'নম্বর ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে।


'পরিকল্পনা মাফিক হামলা'


পশ্চিম বর্ধমানের জামুরিয়া মন্ডল ২ এর সভাপতি তথা জামুরিয়া পঞ্চায়েত সমিতির ১৪ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী রমেশ ঘোষ অভিযোগ করেন যে তারা শ্যামলা গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিনগর এলাকায় যখন দেওয়াল লিখন করছিলেন, সেই সময় জামুরিয়া দু'নম্বর  ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা, বোধন রুইদাস সহ একাধিক ব্যক্তি এসে দেওয়াল লিখনে বাধা দেন। প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁদের ওপর চড়াও করে মারধর করা হয়। মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। রমেশ বাবু অভিযোগ করেন, শ্যামলা অঞ্চল এমনিতে তৃণমূলের ভোট নেই। তাঁর উপর এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য সিদ্ধার্থ রানা পরিকল্পনা মাফিক তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে।


অভিযোগ অস্বীকার


জামুরিয়া দু'নম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠাও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,' দলীয় মিটিং সেরে তিনি রাস্তা দিয়ে পেরিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি লক্ষ্য করেন, তাঁদের দখলে থাকা দেওয়াল বিজেপি কর্মীরা লিখে দিচ্ছে। সে ঘটনার প্রতিবাদ জানালে তাঁদের ওপর চড়াও হয় রমেশ ঘোষ ও তাঁদের দলবল। প্রস্তুতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়, সেই জন্য তারা সেখান থেকে চলে আসেন। বিজেপি এলাকায় প্রার্থী না পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে বদনাম করার জন্য এই সমস্ত নোংরামি করছে বলে দাবি সিদ্ধার্থ রানার। ইতিমধ্যেই দুপক্ষেরই তরফেই পাণ্ডবেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


সিপিএমের পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ


অপরদিকে, বাদুড়িয়ায় সিপিএমের পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, দলীয় কর্মীদের নিয়ে সিপিএম প্রার্থীর বৈঠকের সময় হামলা চালানো হয়। রড-লাঠি নিয়ে মারধর করা হয়। অভিযোগের তির তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত চার সিপিএম কর্মী হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এনিয়ে অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। দিনকয়েক আগে হুগলির গোঘাটের কামারপুকুরে সিপিএম নেতার বাড়িতে ব্যাপক বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। ভেঙে যায় জানালার কাচ। উদ্ধার করা হয় একটি বোমাও। সিপিএমের অভিযোগ, মনোনয়ন তুলতে তাদের প্রার্থীদের চাপ দেওয়া হচ্ছিল। বাধা দেওয়ায় হামলা চালায় তৃণমূল। সিটুর রাজ্য কমিটির সদস্য তিলক ঘোষ বলেন,'প্রার্থীদের ভয় দেখাচ্ছে। রাতে বোমাবাজি করে তৃণমূল।'