কলকাতা:  মনোনয়ন (Nomination) পর্ব ঘিরে অশান্তি অব্যহত। জেলায় জেলায় এখনও হামলা, সংঘর্ষের (Clash) অভিযোগের ছবি উঠে আসছে। আর এই ইস্যুতেই এদিন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ তোপ দাগলেন শাসকদলকে। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এদিন ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ট্যুইট করে বলেন, 'নির্বাচন কমিশন যাই বলুক, তা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) মানবে না।'


এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'নির্বাচন কমিশন যাই বলুক, তা তৃণমূল কংগ্রেস মানবে না, আগেই বলেছিলাম। সেটা আজ প্রমাণ হয়ে গেল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়নগড় ব্লক অফিসে, ১৪৪ ধারা জারি থাকার পরেও হাজার হাজার লোক জমায়েত হয়ে মাইক বাজিয়ে মনোনয়ন জমা করছে।'






মনোনয়ন পর্বের তৃতীয় দিনেও অশান্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। রানিনগরের শেখপাড়ায় ধুন্ধুমার। বাম-কংগ্রেস জোটের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ।পুলিশের সামনেই লাঠি, পাইপ নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের। তৃণমূলের বাইক বাহিনীরও দেখা মেলে। জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। যদিও শাসকদলের দাবি, বাম-কংগ্রেসই মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিচ্ছে। অভিযোগ ওড়াল জোট। প্রতিবাদে পাল্টা মারধরের অভিযোগে রাস্তায় বসে  বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা (TMC)। 


 বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকে বিডিও অফিসে মনোনয়ন তুলতে আসার সময় সিপিএমের ওপর হামলার অভিযোগ (Attack)। শক্তিগড় মোড়ের কাছে সিপিএম সমর্থকদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে র‍্যাফ নামানো হয়েছে।  পঞ্চায়েত ভোটের  দিন ঘোষণার পর থেকেই সারা রাজ্যে অশান্তির আগুন। জেলা জেলা থেকে প্রতিদিনই আসছে সংঘর্ষের খবর। এরই মাঝে মনোনয়নে অশান্তি রুখতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।


কিন্তু অশান্তি থামছে কই? সোমবাও বাংলার বিভিন্ন জেলা থেকে এল সংঘর্ষের খবর। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীতলায় কংগ্রেস প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল।   তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আত্মীয়ের বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর। কংগ্রেস প্রার্থী জামান মণ্ডলকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর কাকা, হাত ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস প্রার্থীর আত্মীয় হাসপাতালে ভর্তি। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। 


মনোনয়ন-পর্বের তৃতীয় দিনে কাকদ্বীপেও উত্তেজনা সকাল থেকে। কংগ্রেস প্রার্থী শিবানী দাসকে বিডিও অফিস চত্বরেই বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে নথি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশকে জানালেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, বিজেপি প্রার্থীদেরও মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ? 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


ভাঙড়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে ডিসিআর নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল । বিডিও অফিসের মধ্যে পুলিশের সামনেই মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকমরিচা গ্রামের ঘটনা। কংগ্রেস প্রার্থী আশরফ আলি মোল্লার অভিযোগ, মনোনয়নে বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরা। এরপর পুলিশের সাহায্যে বিডিও অফিসে ঢুকলেও, সেখানেও তাঁকে মারধর করা হয়। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।