দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Poll 2023) বিজেপির জয়ী প্রার্থী (BJP Candidate)। অথচ শংসাপত্রে রয়েছে তৃণমূলের নাম। এমনই অভিযোগ ঘিরে হইচই শুরু হয়েছে সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার কালিকাপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 


শংসাপত্র নিয়ে নানা কাণ্ড জেলায় জেলায়


প্রসঙ্গত, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে একাধিক অভিযোগ উঠে এসেছে। কোথাও বয়কট হওয়া বুথে পড়েছে ৯৫ শতাংশ ভোট। আবার কোথাও জয়ী প্রার্থীর শংসাপত্রও কেড়ে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। এমনকি আরও নজিরবিহীন ছবি উঠে এসেছে নন্দীগ্রামে। একটিই আসন। আর সেই আসনে লড়াই করা দুই প্রার্থীকেই দেওয়া হয়েছে জয়ের শংসাপত্র। তৃণমূলের প্রার্থীও পেয়েছেন, এদিকে নির্দল প্রার্থীও পেয়েছেন জয়ের শংসাপত্র। এমনই খবর প্রকাশ্যে এসেছে নন্দীগ্রামের কেন্দামারি জালপাই পঞ্চায়েতের (Panchayat Election) একটি আসনে। 


এক পঞ্চায়েতে দুই বিজয়ী প্রার্থী। দুই প্রার্থীর হাতেই এপিআরও-র স্বাক্ষর করা জয়ের শংসাপত্র। এমনই নজিরবিহীন ঘটনা সামনে এল বিরোধী দলনেতার জেলায়। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের কেন্দামারি জালপাই পঞ্চায়েতের ২২টি আসনে লড়াই ছিল মূলত তৃণমূল ও নির্দলের। টিকিট না পেয়ে এই পঞ্চায়েতে নন্দীগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন পর্ষদ'-এর ব্যানারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হন তৃণমূলেরই প্রাক্তন পদাধিকারীরা। 


 নির্দল প্রার্থী নাকি তৃণমূলের প্রার্থী? নন্দীগ্রাম (Nandigram) ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েতের একটি আসনে সে নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। কেন্দামারি জালপাই পঞ্চায়েতের ২১৭ নম্বর আসনে তৃণমূলের প্রার্থী তাপসী দোলই। নন্দীগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন পর্ষদ-এর সমর্থনে নির্দল প্রার্থী রীতা বল্লভ। তাঁর দাবি, ১১ জুলাই ভোট গণনার দিন, তাঁকে ১৮১ ভোটে জয়ী ঘোষণা করে এপিআরও-র সই ও স্ট্যাম্প-সহ শংসাপত্র দেওয়া হয়। নির্দল প্রার্থীকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়ার ঠিক সাতদিনের মাথায় সোমবার, তাঁকে ফোন করে জানানো হয় ওই শংসাপত্রে ভুল রয়েছে। বিডিও অফিসে দেখা করতে বলা হয় তাঁকে। সেদিনই, তৃণমূলের প্রার্থীকে ১৮১ ভোটে জয়ী ঘোষণা করে শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও এপিআরও-র সই ও স্ট্যাম্প রয়েছে।


আরও পড়ুন, 'বালতি ওল্টানোর ক্ষমতা নেই, সরকার ফেলবে', বললেন মমতা 


অপরদিকে, গণনা কেন্দ্রের মধ্যেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে নির্দল প্রার্থীর জয়ের শংসাপত্র কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paragana) বাদুড়িয়ার বাগজোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাজরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। হেরে যাওয়া প্রার্থীকে পঞ্চায়েত সদস্যা হিসেবে মানব না স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেছিলেন গ্রামবাসীরা। নির্দল প্রার্থী হীরামণি পিয়াদার অভিযোগ, তিনি তিনশোর বেশি ভোটে জেতায় গণনাকেন্দ্রে চড়াও হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে জয়ের শংসাপত্র কেড়ে নেয় তৃণমূল প্রার্থীর অনুগামীরা। পুলিশকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। তৃণমূল প্রার্থী হাসিনা খাতুন গোলদারকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রশাসন তাঁকেই জয়ী বলে সার্টিফিকেট দিয়েছে বলে দাবি তৃণমূল প্রার্থীর।