উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে আক্রান্ত সিপিএম। পোড়ানো হল সিপিএম কর্মীদের মোটরবাইক ও টোটো। তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার শাসক দলের।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট শেষ হলেও হিংসা অব্যহত। সম্প্রতি হাওড়ার আমতা জয়পুরে দুই বিজেপির প্রার্থীর (BJP Candidate) বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায় বাড়ির সমস্ত কিছু। ঘটনাটি ঘটেছিল আমতা বিধানসভার জয়পুর থানার দক্ষিণ কাঁকরোল গ্রামে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল ওই এলাকায়।
জানা যায়, অমরাগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৩ নং আসনে ঝুমা রায় ও ৩৭ নং আসনে কল্পনা রায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। মূলত এই দুই প্রার্থী হলেন, একই পরিবারের দুই জা। অপরদিকে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল আশ্রিত তাঁদের হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ।বৃহস্পতিবার তখন গভীর রাত। পুরো পরিবার গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। এমনই সময় আচমকাই প্রতিবেশীদের ডাকে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম ভাঙতেই বুঝতে পারেন কী ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে ! মাটির বাড়ি থাকার ফলে পুরো বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। ছটি বাড়ি-সহ একটি মুদি খানা দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে এর পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জয়পুর থানার পুলিশ।
জুলায়েই শুরুতেও রাজ্যপালের কোচবিহার সফরের সময় এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছিল। দিনহাটার ওকরাবাড়িতে কংগ্রেস প্রার্থী জহিরুল মিয়ার বাড়িতে বোমাবাজির (Bomb Blast) অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। বোমা ছোড়ার ফলে একটি ঘরে আগুন ধরে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকলের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছিল। প্রার্থীর আত্মীয় রুহুল আমিন অভিযোগ করেছিলেন, তাঁরা যখন বসে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় বোমাবাজি করে পালিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রাজ্যপাল সেসময় বলেছিলেন, 'মানুষ চাইলে রাস্তায় আমায় দাঁড় করিয়ে কথা বলতে পারবেন। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বাংলায় এই ধরনের হিংসা আর বরদাস্ত করা হবে না।'
আরও পড়ুন, 'বাইরে থেকে নেতা পাঠিয়ে ভাঙড়ে অশান্তি', সওকতক নিশানা দিলীপের
এরপর জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে, নির্দল প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি হয়েছে সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের সালারে। রণক্ষেত্র হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়াও। পরপর গাড়ি ভাঙচুর, আগুন। বিক্ষোভ। মৃত্যুতেও রেহাই নেই। ভোট মিটতেই এবার ফের অব্যাহত সন্ত্রাস।