দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নৌশাদের পর এবার ভাঙড় যেতে 'বাধা' আরাবুল-সওকতকে।নাম না করে সওকত মোল্লাকে নিশানা দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, 'বাইরে থেকে নেতা পাঠিয়ে ভাঙড়ে অশান্তি তৈরি করা হচ্ছে।'


নৌশাদের পর ভাঙড় যেতে 'বাধা' আরাবুল-সওকতকে


নিহত তৃণমূলকর্মীর দেহ নিয়ে ভাঙড়ে ঢুকছিলেন আরাবুল-সওকত।ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় আরাবুল-সওকতকে আটকে দেয় পুলিশ। কিছুক্ষণ রাস্তায় বসে বিক্ষোভ পরে ফিরলেন আরাবুল-সওকত। 'পুলিশ নিরপেক্ষ, তাই আমাদেরও আটকেছে', বলেন সওকত। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু। ভোট গণনার সময়ও অশান্ত হয়েছিল ভাঙড়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই মুহূর্তে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভাঙড়ে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা।


পুলিশের 'যুক্তি' মানতে চাননি ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি


আর নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে যেতে গিয়ে বাধা পেয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। পুলিশি বাধায় ভাঙড়ে ঢুকতেই পারেননি তিনি। রাজারহাটের পর নিউটাউনে আটকানো হয়েছিল ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকে। যেখানে পুলিশের সঙ্গে প্রবল কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। পুলিশের 'যুক্তি' মানতেও চাননি তিনি।


' ১৪৪ ধারার মানে..' ? কী দাবি আইএসএফ বিধায়কের ?


নৌশাদের দাবি ছিল,' ১৪৪ ধারার মানে তো চারজন তা তার থেকে বেশি লোকের জমায়েত করা যাবে না। কিন্তু আমি ও আর একজন মাত্রই তো গাড়িতে যাচ্ছি। তাহলে কোথায় সেই ধারা ভঙ্গ করা হয় ? কর্তব্যরত পুলিশের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় যেতে দেওয়া হবে না, এটা কোথায় উল্লেখ রয়েছে ?'কর্তব্যরত পুলিশের কাছে, তাঁকে কেন যেতে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে লিখিত বয়ানও দাবি করেন নৌশাদ সিদ্দিকি।


আরও পড়ুন, '৫ মাসের মধ্যে তৃণমূলের সরকার পড়বে', বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর


 'অর্ডারের ভিত্তিতেই আইএসএফ বিধায়ককে আটকানো হচ্ছে'


যদিও তাঁদের কাছে আশা 'অর্ডারের' ভিত্তিতেই আইএসএফ বিধায়ককে আটকানো হচ্ছে বলেই জানান কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার। বেশ কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটির পর নৌশাদকে বলতে শোনা যায়, আপনারা বিরোধীদের আটকানোর কাজে ব্যস্ত, সেই সময় নষ্ট করতে চাই না। দীর্ঘক্ষণ বচসার পরও পুলিশ তাঁকে যেতে না দেওয়ায় শেষমেশ ভাঙড়ের রাস্তা আর ধরতে পারেননি নৌশাদ। আগামীতে অবশ্যই যাব, ফিরে যাওয়ার আগে বলেছেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি।