করুণাময় সিংহ, মালদা: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) শেষ হতে না হতেই মালদায় বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু (BJP Worker Deathy Mystery)। বামনগোলায় বিজেপি কর্মী বুড়ন মুর্মুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। মৃত বিজেপি কর্মীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।


'তৃণমূলের মদতে বাবাকে খুন করেছে ছেলে'


'পুত্রবধূ তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে হেরে যাওয়ার পর থেকেই বুড়নকে হুমকি', তৃণমূলের মদতে বাবাকে খুন করেছে ছেলে, অভিযোগ বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। খোঁজ মিলছে না মৃত বিজেপি কর্মীর ছেলেরও।বিজেপি সাংসদের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল। এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। 


খুন করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার ঘটনা বহু


প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের আগেও একাধিকবার খুন করে মৃতদেহ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার মতো ভয়াবহ দাবি জানানো হয়েছিল। তবে যে ভাবে হিংসার বহর বেড়ে চলেছে, তাতে রীতিমতো আতঙ্ক বাড়ছে। বাংলার এই ভোট সন্ত্রাসের ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর (Chiranjeet Chakraborty) বিস্ফোরক মন্তব্য , 'কিছু নিষ্ফল আক্রোশ আছে আর যার কারণেই আমাদের দলের এত কর্মীর মৃত্যু হচ্ছে। বাঙালি হিসেবে আমি লজ্জিত।' 


আরও পড়ুন, '৫ মাসের মধ্যে তৃণমূলের সরকার পড়বে', বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর


'খুব শকিং অবস্থা'


সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন IPS অফিসার হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'খুব শকিং অবস্থা, ট্রমাটাইজড বলতে পারেন। সাংঘাতিক। আমরা আর কোনওদিন কি বাঙালি হিসেবে বেরোতে পারবনা এর থেকে?'  তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) আবার সামনে এনেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) প্রসঙ্গ। তিনি বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী কিছুটা নিউট্রাল। আর লোকে তাদের ভয় পায় ! বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে ! আরও শান্তিপূর্ণ হয়।'


বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যু


প্রসঙ্গত, চলতি বছরে মে মাসে, নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালির বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যুও বড় প্রশ্ন তুলেছিল। বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে কৃষ্ণগঞ্জে ভাজনঘাট সেতু লাগোয়া আমবাগান থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুুলিশ। মৃতের নাম নকুল হালদার। গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৮ নম্বর বুথের বিজেপির বুথ সহ সভাপতি ছিলেন তিনি। মৃতের পরিবারের দাবি ছিল, একটি পা ভাঙা ছিল। খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে সন্দেহ।  বিজেপি নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা।