কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) কারচুপি ঘিরে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, ফলপ্রকাশের পর, রাজ্যের জেলায় জেলায় যত্রতত্র ছাপমারা ব্যালট পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি জ্যাংড়া হাতিয়ারা ২নং পঞ্চায়েতের ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসতেই বিস্ময়প্রকাশ করেছেন খোদ বিচারপতি। ওই ভোট বয়কটের পর ওই বুথে প্রায় ৯৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখানেই শেষ নয়, অশোকনগরে তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটির বিরুদ্ধে ব্যালট খেয়ে ফেলার মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে। আর এই সবই ক্ষোভের আকারে বাইরে বেরিয়ে আসছে। আর এদিন কলেজ স্কোয়ারের বিক্ষোভ মঞ্চ থেকে হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু অধিকারী


'ভোট লুঠ করতে ব্যালটও খেয়ে ফেলেছে তৃণমূল'


এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, 'ভোট লুঠ করতে ব্যালটও খেয়ে ফেলেছে তৃণমূল।' মূলত, পঞ্চায়েত ভোটের গণনার মাঝে আচমকাই বাকরুদ্ধ করা কাণ্ড ঘটনা ঘটেছিল এবার উত্তর ২৪ পরগনায়। '৪ ভোটে জিতছিলাম', এমনটাই দাবি তুলেছিলেন হাবড়ার ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম (CPM) প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার। এরই মাঝে অবাক করা ঘটনা ঘটেছিল অশোকনগরে। হার এড়াতে হঠাৎই টেবিল থেকে বেশ কয়েকটি ব্যালট নিয়ে খেয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল সেদিন তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থী মহাদেব মাটির বিরুদ্ধে ব্যালট পেপার খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছিল সিপিএম। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল প্রার্থীর দাবি ছিল, 'বিজেপি ভোট গণনায় কারচুপি করার চেষ্টা করছিল, তাই ওঁদের হাত কামড় ধরি। ব্যালট খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যে। আমি ৪৬ ভোটে জিতেছি।'


আরও পড়ুন, ভোট বয়কটের বুথে ভোট পড়েছে ৯৫% !


'আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব'


এদিন শুভেন্দু আরও বলেন,'ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে ত্রিস্তরীয় লুঠ করেছে তৃণমূল। আগামী সপ্তাহে তৃণমূলের আরও একটি চুরি ফাঁস করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সেই তথ্য ফাঁস করব।' প্রসঙ্গত, গতবছরও মমতার সরকার পড়ে যাবার ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন শুভেন্দু ও সুকান্তরা। বাইশ সালে তাঁদের দাবি ছিল, 'ডিসেম্বরেই তৃণমূলের সরকারের পতন হবে।' যদিও তেমন কিছু ঘটেনি। লোকসভা ভোটের আগে বরং উলটপুরান জেলায় জেলায়। পঞ্চায়েত ভোটে সবুজ ঝড়ের পর দেশের বিরোধী বিরোধী বৈঠকেও ঝড় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গতবছর তৃণমূলের সরকার না পড়ে গেলেও, গেরুয়া শিবিরে ঘোষণার তারিখগুলিতে শাসকদলের হেভিওয়েটদের অনেকেই কেন্দ্রীয় সংস্থার তলবের মুখোমুখী হয়েছিলেন। তবে এবার অপেক্ষা করছে কী ? সপ্তাহ পেরোলেই তা অবশ্য়ই সামনে আসবে।