সৌমেন চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলার দাঁতনের তররুই গ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ইলেকশন এজেন্টকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের (TMC) বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মীকে (BJP Worker) ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।


জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম পূর্ণ চন্দ্র নন্দী। এলাকার সক্রিয় বিজেপি নেতা বলেই পরিচিত এই বিজেপি নেতাকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও অভিযোগ। উল্লেখ্য দাঁতনের এই এলাকা বছরের অন্যান্য সময়ও শাসকবিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত থাকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই এই এলাকায় ছিল চাপা উত্তেজনা। জেলার অন্যান্য জায়গার মতোই এখানেও নির্বাচনে ভালো ফল করেছে শাসকদল তৃণমূল। আর এরপরই বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ বলে জানিয়েছেন আক্রান্তের স্ত্রী মনোরমা নন্দী।যদিও সম্পূর্ণ অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। জেলার কোথাও কোনও ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে না বলেই দাবি মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরার। গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) সন্ত্রাস ঘিরে হিংসার বহর ক্রমশ উর্ধ্বমুখী। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে 'রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির চক্রান্ত শুভেন্দুর', গুরুতর অভিযোগ তোলেন সম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। মূলত অডিও ক্লিপ শুনিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন কুণাল ঘোষ। তার দাবি, 'শুভেন্দু বলছেন, ৩৫৫ ধারা জারির জন্য পরিস্থিতি তৈরি করাতে হবে। এই অডিও থেকে প্রমাণিত যে চক্রান্ত করছেন শুভেন্দু। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে শুভেন্দুকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেওয়া উচিত আদালতের', দাবি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। পাল্টা কুণালের প্রকাশ করা অডিওর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন নিশীথ প্রামাণিকের। ৩৫৫ ধারা জারির প্রসঙ্গ ওঠা রাজ্যের জন্য লজ্জার, মন্তব্য নিশীথ প্রামাণিকের।


আরও পড়ুন, ব্যালট খেয়ে ফেলা 'মহাদেবের' এলাকায় এবার 'ব্যালট মিষ্টি' !


রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, '১৮-য় যা করেছিলেন, তার ফল পেয়েছিলেন '১৯-এর লোকসভা ভোটে। আজ যা করলেন, সামনের লোকসভা ভোটে মানুষ তার জবাব দেবে। বাংলায় যা ঘটল, তাতে আগামী একমাস কালা দিবস পালন করা উচিত। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যের স্পর্শকাতর জায়গাগুলির তথ্যই দিচ্ছে না পুলিশ। নিহত তৃণমূল কর্মীদেরই পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ও চাকরি দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্য ১৯জনের মৃত্যু হয়েছে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শাসক দলের নির্দেশেই কাজ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। সব হিসেব হবে লোকসভা ভোটে', বলেন বিরোধী দলনেতা।