দীপক ঘোষ, কলকাতা : রাজ্যজুড়ে অভিযোগের পাহাড় ! পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections 2023) দিন উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে সন্ত্রাসের বেলাগাম ছবি। একাধিক মৃত্যুর ঘটনা। দেদার ছাপ্পা থেকে ভোটলুঠ, অভিযোগ সবেরই। কিন্তু এত সবের মাঝেও ভোটের দিন তাঁর অফিসে গরহাজির রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (State Election Commissioner) ! সকাল ১০ টা পর্যন্ত রাজীব সিনহা (Rajiva Sinha) এসে হাজির হননি কমিশনের অফিসে।সকাল ১০টা ৬ মিনিটে কমিশনের অফিসে পৌঁছন কমিশনার। যদিও কোনও কথাই বলেননি তিনি। যার ফলে অভিযোগের পাহাড় শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হোক বা খতিয়ে দেখা, কোনও কিছুই কি আদৌ হচ্ছে ? উঠে গেল বড়সড় প্রশ্ন।


ভোটের দিন রাজ্যের কোথায় কোনও ভোট সংক্রান্ত অভিযোগ উঠলে সেটা দ্রুত নির্বাচন কমিশনে জানানোরই দস্তুর। একাধিক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে রিপোর্ট তলব করা থেকে প্রয়োজনীয় অন্য পদক্ষেপ নিয়ে থাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে এবারে যেমন অভিযোগের পাহাড় একদিকে, তেমনই অন্যদিকে কমিশনের তরফে কোনও বার্তা না মেলার অসহায় উত্তর মিলেছে একাদিক প্রিসাইডিং বা সেক্টর অফিসারের কাছে। আর সেখানেই প্রশ্ন, রাজ্যে যখন এত বেলাগাম হিংসা, ভোটের দিন তখন কেন নিষ্ক্রিয় খোদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার ?


রাজ্যে ভোটপর্ব শুরুর পর থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তাঁদের কথা না শুনে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষে কাজ করার মতো গুরুতর অভিযোগও শানানো হয়েছে। যারপর কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আনা থেকে স্পর্শকাতর বুথ বা অঞ্চল বেছে নেওয়া, একাধিকবার কলকাতা হাইকোর্টেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। সরাসরি তাঁর নাম করে 'দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ' বলেই সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যে চলতে থাকা অশান্তি, রক্তপাতের জন্য কমিশনারকে দায়ীও করেছিলেন সিভি আনন্দ বোস। 


এসবের মাঝেই ভোটের দিন নির্বাচন কমিশন কতটা কার্যকরী ভূমিকা নেয়, সেটা দেখতেই নজর ছিল সকলের। যদিও শান্তিপূর্ণ ভোটের ছবির প্রত্যাসার মতোই কমিশন ও কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও শুধু হতাশাই সঙ্গী হয়েছে রাজ্যের মানুষের।                                                  


আরও পড়ুন- ব্যালট বাক্স ভেঙে চুরমার, মাঠে গড়াগড়ি দিনহাটায়, পুলিশের উত্তর 'বলতে পারব না'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial